সমাজের কথা ডেস্ক : ভারতের উত্তরাখণ্ডের বেসরকারি হাসপাতালের এক নার্সকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক নারী শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক তোলপাড়ের মধ্যে নতুন এ ঘটনা সামনে এসেছে।
ভারতীয় এনডি টিভি জানিয়েছে, ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় উত্তরাখণ্ডের হাসপাতাল থেকে বেরিয়েছিলেন ওই নার্স। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তাকে রিকশা নিয়ে যেতে দেখা যায়৷ কিন্তু উত্তর প্রদেশের বিলাসপুরের কাশীপুর রোডে তার ভাড়া বাড়িতে পৌছতে পারেননি তিনি৷
জানা যায়, সেখানে তিনি তার ১১ বছরের মেয়েকে নিয়ে থাকতেন৷ পরদিন ওই নার্সের বোন নিখোঁজ ডায়েরি করেন। আট দিন পর ৮ অগাস্ট তার বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে দিবদিবা গ্রামের একটি খালি জায়গায় তার মৃতদেহ শনাক্ত করে। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। একপর্যায়ে ওই নার্সের চুরি হওয়া ফোনের অবস্থান শনাক্ত করে ধর্মেন্দ্র নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দিনমজুর ধর্মেন্দ্র উত্তর প্রদেশের বেরেলির বাসিন্দা। গত বুধবার তাকে রাজস্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, মদ্যপ অবস্থায় ধর্মেন্দ্র ওই নার্সকে দেখতে পেয়ে তার পিছু নেন। তার অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে ঢোকার আগমুহূর্তে ধর্মেন্দ্র তার ওপর চড়াও হন এবং টেনে পাশের ঝোঁপের কাছে নিয়ে যান। উধম সিং নগরের সিনিয়র পুলিশ সুপার মঞ্জুনাথ টিসি বলেন, ধর্ষণের পর ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ওই নার্সের হাতব্যাগে থাকা তিন হাজার রুপিও চুরি করেছেন ধর্মেন্দ্র।