নিজস্ব প্রতিবেদক : ৭ লাখ টাকা আত্মসাত করতে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে মৎস্য ব্যবসায়ী মামুন হাসান ওরফে মামুনকে হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। মামুনের বোন তাসলিমা আক্তার রানী ৯ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় এজাহার দাখিল করেছেন। বাদির অভিযোগ মামুনের ব্যবসায়িক পাটনার পিন্টু তার দুলাভাই চাঁচড়ার বিএনপি নেতা ঠিকাদার সাইদের সহায়তায় এ হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনা করেন।
মামুনের বোন তাসলিমা আক্তার রানী এজহারে উল্লেখ করেছেন, তার ভাই মামুন হাসান মীর দীর্ঘদিন ধরে চারা মাছের ব্যবসা করে আসছিলেন। কয়েক মাস পূর্বে স্বল্প সময়ের জন্য মূল্য ৭ লাখ টাকা মূল্যের ২২ লাখ চারা মাছ চাঁচড়া ডালমিল এলাকায় পিন্টুর পুকুরে রাখেন। ওই মাছ গোপনে অন্যত্র বিক্রি করে দেয় পিন্টু। এর কয়েকদিন পর চারা মাছ বিক্রি করতে ক্রেতা নিয়ে পিন্টুর পুকুরে যান মামুন।
এসময় দেখেন মাছ নেই। এরপরে পিন্টুকে চাপ প্রয়োগ করা হলে তিনি চুরি করে বিক্রি করেছেন বলে মামুনের কাছে স্বীকার করেন এবং টাকা ফেরতের জন্য আশ্বাস্ত করেন। সে অনুযায়ী ২৫ মে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মাছের পাওনা টাকা নেয়ার জন্য জন্য পিন্টুর কাছে গিয়েছিলেন মামুন। টাকা না পেয়ে ফিরে আসছিলেন মামুন। রেলগেট কয়লাপট্টি পৌছানো মাত্র পিন্টুর ভগ্নিপতি ঠিকাদার সাইদ ফোন করে মামুনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চান।
অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দেয়ার পরপরই রনির নেতৃত্বে একদল যুবক তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। শুধু তাই নয় রেল লাইনের পাথর ছুঁড়ে মারে মামুনের সারা শরীরে। পাথরের আঘাতে তিনি পড়ে গেলে তাকে উপুর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে আনন্দ উল্লাস করতে করতে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো, চাঁচড়া রায়পাড়া তুলোতলার কামরুল ইসলাম কালা বাবুর ছেলে রনি (২৩), কবির হোসেনের ছেলে মুরাদ হোসেন (২০), সিরাজের ছেলে হাসান (২১), হবির ছেলে গাজী (২০), চাঁচড়া ডালমিল এলাকার মৃত কাদেরের দুই ছেলে কামরুল ইসলাম সুমন (৪২) ও পিন্টু (৪০), চেকপোস্ট এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মোড়লের ছেলে ঠিকাদার সাইদ (৪২), শংকরপুর বাস টার্মিনাল এলাকার জাফরের ছেলে সজিব (১৯) এবং রায়পাড়ার ছাকিন (১৯)।
এদিকে স্থানীয় একটি ষূত্র জানায়, থানায় অভিযোগ দায়েরেদের পরেও পুলিশ কোন ভূমিকা না নেয়ায় সোমবার রাতে চাঁচড়া রায়পাড়ায় বোমা ফাটিয়ে আনন্দ উল্লাস করে প্রধান অভিযুক্ত রনি।
সূত্রটি জানিয়েছে পিন্টুর পাওনাদার মামুনকে হত্যার জন্য ৪০ হাজার টাকায় চুক্তিতে ভাড়া করা হয় সন্ত্রাসী রনিকে। রনি চাঁচড়া রায়পাড়ার এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী সোর্স রহিম ওরফে মুরগি রহিমের জামাই।
এজাহারের বিষয়ে বাদি জানিয়েছেন, পুলিশ এজহার থেকে কয়েকজনের নাম বাদ দিতে বলেছিল। পরে অনেক দেনদরবার করে ওই ৯ জনের নামে মামলা নিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার ৬দিনেও কোন আসামি আটক করা হয়নি। এই ব্যাপারে চাঁচড়া ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম বলেছেন, সোমবার একটি বোমা বিস্ফোরণের সংবাদ শুনেছি। কিন্তু কারা এখনো তা জানা সম্ভব হয়নি।