সমাজের কথা ডেস্ক : রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর চালাচ্ছে ছাত্র-জনতা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এরআগে সাড়ে ৭ টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে স্লোগান স্লোগানে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে জড়ো হতে তাকে শতশত ছাত্র-জনতা। পরে তারা ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়িতে হামলা করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তাদের বাধা দেওয়া চেষ্টা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যারিকেড ভেঙে তারা ৩২ নম্বর বাড়িটিতে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে৷
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, এই বাড়ি থেকে ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি শুরু হয়েছে। তাই দেশের মাটি থেকে এই বাড়ি মুছে ফেলতে চায় দেশের জনগণ। বিশেষ করে গত ১৬ বছর শেখ হাসিনা সরকার দেশের মানুষের রক্ত চুষে আবার দেশের মানুষকে মারার পরিকল্পনা করছে।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা জুলাই আন্দোলনে দেশের মানুষের ওপরে গণহত্যা চালিয়েছে। এই খুনি হাসিনা আবারও ষড়যন্ত্র করার পরিকল্পনা করছে। তাছাড়া আজকে স্বৈরাচার সরকার পতনের অর্ধবছর পূর্ণ হয়েছে।
এরআগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে বলা হয়, ‘‘ধানমন্ডি-৩২ অভিমুখে ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ বুলডোজার মিছিল। হাজারো ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়ে দিল্লি পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকেই খুনি হাসিনার বাংলাদেশবিরোধী অপতৎপরতার প্রতিবাদে ২৪-এর বিপ্লবী ছাত্র-জনতার উদ্যোগে আজ রাত ৯টায় এ কর্মসূচি পালিত হবে।’’
এর আগে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় ছাত্রদের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন। এর প্রতিবাদে বুধবার রাত ৯টায় 'লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২' কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র-জনতা। তবে তাদের পূর্বঘোষিত ঘোষণার আগেই ভাঙচুর শুরু করা হয়।
এদিকে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগে থেকেই ধানমন্ডি-৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। তবে ৩২ নম্বর বাড়িটি ভাঙ্গচুর করার সময় বাড়ির সামনে তিনটি পুলিশের গাড়ি ও বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। পরে শিক্ষার্থীরা ভাঙ্গচুর চালানোর সময় পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও কেউ ফোন ধরেনি।