* কাজে ফিরেছেন হরিজন সম্প্রদায়ের কর্মীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে পৌরসভার হরিজন সম্প্রদায় কাজে ফিরেছেন। তবে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে ৫ দিন ধরে বিচ্ছিন্ন রেল স্টেশন হরিজন পল্লীর বিদ্যুৎ সংযোগ। এর আগে যশোর শহর ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হলে গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে যশোর পৌরসভা নিজেদের লোক দিয়ে চার দিনের ময়লার স্তুপ পরিষ্কার করা শুরু করে। আর জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা হওয়ার পর গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ৪দিনের কর্মবিরতি থেকে সরে দাঁড়িয়ে কাজ শুরু করেন।
<<আরও পড়তে পারেন>> কঠোর পৌরসভা, নমনীয় হরিজনরা
জানা যায়, শহরের ৩টি হরিজন পল¬ীর বিদ্যুৎ বিল পৌর কর্তৃপক্ষের আওতায় ছিল। সম্প্রতি ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে (ওজোপাডিকো) ৩টি পল¬ীর বকেয়া প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা পরিশোধের জন্যে তাগিদ দেয়। এ সময় হরিজনরা জানায়, তাদের বিদ্যুৎ বিল কখনো দেয়া লাগেনি। এখনো দেবেন না। তবে যশোর পৌরকর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়’ হরিজন পল¬ীর বকেয়া বিদ্যুৎ বিল তারা পরিশোধ করবে না। বিল ব্যবহারকারীদেরকেই দিতে হবে।
এরপর গত ২৯ জানুয়ারি বিদ্যুৎ বিভাগের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কয়েকটি টিম শহরের ৩টি হরিজন পল¬ীতে প্রিপেইড মিটার লাগানোর চেষ্টা করে। হরিজনরা বিদ্যুৎ বিভাগের কাজে বাধা দেন এবং তারা রাস্তায় নামেন। পূর্বের মত বিদ্যুৎ ব্যবহারের দাবি জানান। এরই মধ্যে ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রেল স্টেশন হরিজন পল¬ীর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। ওই দিনই আন্দোলনে নামেন হরিজনরা।
৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন তারা। হরিজনরা কাজ না কারায় শহরে ময়লার স্তুপ জমা হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার ও যশোর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ হরিজন সম্প্রদায়ের সাথে আলোচনায় বসেন। এ সময় তারা জানান, হরিজনদের বেতন বাড়ানোর বিষয় জেলা মাসিক উন্নয় সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হবে।
এর প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে হরিজন সম্প্রদায়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়ে কাজে হাত দিয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিরণ লাল সরকার বলেন, জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে আমরা কাজে ফিরেছি এবং পৌরসভার সকল ময়লা পরিষ্কার করা হয়েছে। আমাদের পরিচ্ছন্নতার কাজ অব্যাহত থাকবে।