নিজস্ব প্রতিবেদক : আকিজ জুট মিলের কর্মি মিজানুর রহমান মিঠু সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়নি তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন অভিযোগে যশোর আদালতে মামলা করেছেন মিঠুর ভাই লিন্টু মোল্ল্যা। অভিযোগ করা হয়েছে আট লাখ টাকা ধারের পাওনা চাওয়ায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে খুন করেছে। বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অবন্তিকা রায় এই ঘটনায় অভয়নগর থানায় আর কোন মামলা হয়েছে কিনা আগামি পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অভয়নগর থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, অভয়নগর উপজেলার মসরহাটি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের তিন ছেলে উকিল, মোক্তার ও শুকুর আলী এবং হিদিয়া গ্রামের মৃত চেগা বক্কারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে মফিজুর।
মামলার এজহারে উল্লেখ রয়েছে, মিজানুর রহমান মিঠু অভয়নগরের আকিজ জুট মিলে চাকরি করতেন।
মসরহাটি গ্রামে আসামিদের বোন তাসলিমা বেগমকে ২১ বছর আগে বিয়ে করেন। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আকিজ জুট মিলের কোয়ার্টারে বসবাস করতেন। আসামি উকিল ভাঙ্গাগেটে মাংসের ব্যবসা করেন। ব্যবসায়িক টাকার প্রয়োজনে তার ভগ্নিপতি মিঠুর কাছ থেকে আট লাখ টাকা ধার নিয়েছিলো উকিল। সম্প্রতি মিঠুকে কোম্পানি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বদলী করে। কিন্তু শ্যালক উকিলের কাছে পাওনা আট লাখ টাকা ফেরৎ পাওয়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মিঠৃুর বিরোধ চলে আসছিল।
গত ১৭ জুন সকাল ৭টার দিকে লোক মারফত জানতে পারে বাদীর ভাই মিঠু মারা গেছে। এই খবর পেয়ে সেখানে গেলে তাদের লাশটি দেখতে দেয়া হয়নি। ওই সময় আসামিরা বলছে মিঠু রোড এক্সিডেন্টে মারা গেছে। তবে কোথাও তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলনা। তাছাড়া কোন হাসপাতালে না নিয়ে এবং থানা পুলিশকে অবহিত না করে তড়িঘড়ি করে বুইকারা কবরস্থানে দাফন করে দেয়। পরবর্তীতে লোক মারফত জানতে পারে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে মাথার পিছনে ভারি কোন বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয় এবং ডান পাজরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।