সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
ব্রুনাই দারুসসালামে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন অফিস প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল’র ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের স্বাগত জানান।অতিথিদের অধিকাংশই ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য। পরে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল’র প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ্য নিবেদন করেন হাইকমিশনার, অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যগণ। শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল’র প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালসহ সকল শহিদের জন্য পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল’র উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয়, যার মাধ্যমে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল সম্পর্কে সবাই আরো সম্যক ও গভীর ধারণা লাভ করে এবং অনুপ্রাণিত হন।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালকে বহু গুণে গুনান্বিত এক অসামান্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত করেন এবং খেলাধূলা, সঙ্গীত, অভিনয়, বক্তৃতায় পারদর্শীতাসহ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর বহন ও অবাধ বিচরণ তাকে এক অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছে বলে মন্তব্য করেন। তাঁর শিক্ষা জীবন, মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও বিবাহিত জীবন সম্পর্কেও বাংলাদেশ হাইকমিশনার সবাইকে অবহিত করেন। বাংলাদেশ হাইকমিশনার জানান যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নারকীয় হত্যাযজ্ঞে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল’র জীবনাবসানের কারণে গোটা জাতি একজন সুযোগ্য, দক্ষ ও মানবিক নেতাকে হারিয়েছে, যার অভাব কখনো পূরণ হবেনা। –