ক্রীড়া ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গণআন্দোলনের মুখে সোমবার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তাতে বিপদে পড়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একাধিক কর্মকর্তা। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকেই হদিস পাওয়া যাচ্ছে না বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপনের। কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশও বিসিবি কার্যালয়ে আসছেন না। এই সুযোগে গত কয়েকদিন ধরেই বিসিবিতে আসছেন বিএনপিপন্থী সংগঠক ও তাদের অনুসারীরা।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের সামনে বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের ব্যানারে থাকা ক্রীড়া সংগঠকরা। ব্যানারে লেখা ছিল, ‘বিসিবিকে দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে মুক্ত করার এটাই সময়। বাংলাদেশ ক্রিকেট আজ কোথায়? জবাব চাই।’ কোনও কোনও ব্যানারে লেখা, ‘বিসিবির সকল অযোগ্য পরিচালকদের পদত্যাগ করতে হবে।’
এছাড়া বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস, বিপিএল গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ইসমাইল হায়দার মল্লিক, বিসিবির পরিচালক ওবেদ রশীদ নিজাম-ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ এই কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে বিক্ষোভ মঞ্চস্থ হয়েছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ খালেদ মাহমুদ সুজনের ছবিও দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের ব্যানারে।
এদিকে পাপনের অনুপস্থিতিতে কীভাবে চলবে বিসিবি কিংবা অন্য দায়িত্বে থাকা পরিচালকদের শূন্যস্থান কীভাবে পূরণ হবে? গুরুতর পদে থাকা এসব কর্তাব্যক্তিকে এ মুহূর্তে চাইলেও সরিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। তেমন কিছু ঘটলে আইসিসির তরফ থেকে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশের ক্রিকেট।
বিসিবির গঠনতন্ত্রের ১৫(২)-এর ধারা অনুযায়ী, শারীরিক অসুস্থতা, বিদেশ গমন বা যথাযথ কারণ ছাড়া পরপর তিনটি বোর্ডসভায় অনুপস্থিত থাকলে তার পরিচালকের সদস্যপদ বাতিল হবে। আর ছয় মাসের মধ্যে তিনটি বোর্ডসভা না হলে এই কমিটিই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এমন কিছুর আশঙ্কাও আছে। কারণ বোর্ডের সিংহভাগ পরিচালকেরই খোঁজ মিলছে না। তাদেরই একজন পাপন। প্রথমত তিনি বোর্ডের একজন পরিচালক। এরপর বোর্ডপ্রধান।