সমাজের কথা ডেস্ক : বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ—সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে দ্বীপটিতে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন দুই শতাধিক পর্যটক। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে কক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ—সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতাসংকেত দেখিয়ে উপকূলের নৌযানসমূহকে সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশনা দিয়েছে।
ইউএনও বলেন, ‘কক্সবাজার সাগর উপকূলে ৩ নম্বর সতর্কতাসংকেত অব্যাহত থাকায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে সকাল থেকে টেকনাফ—সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চলতি মৌসুমে গত বুধবার থেকে টেকনাফ—সেন্টমার্টিন নৌরুটে প্রতিবন্ধকতা যাছাই করতে পরীক্ষণমূলকভাবে ‘এমভি বার আউলিয়া’ নামের পর্যটকবাহী একটি জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। মূলত সাত দিনের জন্য আপাতত জাহাজটি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে সফলতা পাওয়া গেলে পরবর্তী সময়ে ওই জাহাজটিসহ অন্যগুলোকেও চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।’
‘শুক্রবার সকালে টেকনাফ থেকে ‘এমভি বার আউলিয়া’ জাহাজটি করে সেন্টমার্টিনে ৮৫২ জন পর্যটক সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যান। দুপুরের পর থেকে বৈরী আবহাওয়া কারণে জাহাজটি করে ৬ শতাধিক পর্যটক টেকনাফ ফিরে এলেও অন্যরা রাত্রিযাপনের জন দ্বীপে অবস্থান করেন’, যোগ করেন মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে রাত্রিযাপনের জন্য অবস্থান করা দুই শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। আর আটকা পর্যটকদের যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা হয়েছে।’
বৈরী আবহাওয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ইউএনও।
বিআইডব্লিউটিএ এর চট্টগ্রাম আজ্ঞলিক কার্যালয়ের উপ—পরিচালক ও টেকনাফে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নয়ন শীল বলেন, চলতি মৌসুমে সাত দিনের জন্য পরীক্ষণমূলক চলাচলে ‘এমভি বার আউলিয়া’ নামের জাহাজটিকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে সফলতা পাওয়া গেলে অন্যগুলোকেও চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ‘কেয়ারি সিন্দাবা’ নামের আরও একটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি চেয়ে বিআইডব্লিটিএ বরাবরে আবেদন করেছে।