সমাজের কথা ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বৈধ ঘোষিত সাত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করা হয়েছে। শুক্রবার এ আপিলগুলো করা হয়।
নির্বাচন কমিশনে এ পর্যন্ত ৪৩১টি আবেদন পড়েছে। মঙ্গলবার ৪২ জন, বুধবার ১৪১ জন, বৃহস্পতিবার ১৫৫ জন এবং আজ শুক্রবার ৯৩ জন আপিল করেছেন। ৯ ডিসেম্বর আপিল দায়েরের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। আগামী রবিবার থেকে এসব আপিল আবেদন শুনানি করে সিদ্ধান্ত দেবে ইসি।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, মোট ৪৩১টি আপিল আবেদনের মধ্যে সাতটি করা হয়েছে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে। এ সাত প্রার্থীর মধ্যে তিন জন আওয়ামী লীগের, দুই জন জাতীয় পার্টির এবং অপর দুই জন স্বতন্ত্র।
এর মধ্যে ফরিদপুর—৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ (এ কে আজাদ)। তিনি অভিযোগ করেছেন, শামীমক হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। আজ এ কে আজাদের পক্ষে তার আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া আপিল আবেদন জমা দেন।
দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ এনে সিলেট—৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আজ আপিল করা হয়েছে। আপিলটি দায়ের করেছেন একই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
ফৌজদারি মামলা থেকে অব্যাহতির প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় কিশোরগঞ্জ—৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা। নিজের প্রার্থিতা ফিরে পেতে গত মঙ্গলবার তিনি ইসিতে আপিল করেছেন। এ ছাড়া তিনি আজ তার আসনের বৈধ প্রার্থী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেছেন। আপিলে চুন্নুর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ এনেছেন তিনি।
কুমিল্লা—৩ আসনের বৈধ প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শুক্রবার ইসিতে আবেদন দায়ের করেছেন জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাসিন্দা বসির আহম্মদ।
কক্সবাজার—১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেছেন চকোরিয়া পৌরসভার বাসিন্দা আব্দুল আউয়াল মামুন। জাফর আলম কক্সবাজার—১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
পটুয়াখালী—১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রুহুল আমিন হাওলাদারের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেছের নজরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি দাবি করেন, রুহুল আমিন হাওলাদার আয়কর সংক্রান্ত নথিতে অসত্য তথ্য দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, জাপার প্রার্থী ৩ ডিসেম্বর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৩০ নভেম্বর।
ময়মনসিংহ—৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সুমনের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছেন একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বদরুল আলম প্রদীপ। রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে এই দুজনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা হয়েছে।
আজকের আগেও বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করা হয়। বৃহস্পতিবার যশোর—৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হকের মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য রনজিত কুমার রায়। ময়মনসিংহ—৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হাসানের মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেন জাতীয় পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম।
বরিশাল—৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন কে বি এস আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুকের মনোনয়নপত্র সমর্থনকারী।