১০ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
 বেনাপোল বন্দরে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা, কয়েক কোটি টাকার পণ্য জব্দ
 বেনাপোল বন্দরে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা, কয়েক কোটি টাকার পণ্য জব্দ

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি : ভারত থেকে আমদানি করা কয়েক কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে যাওয়ার সময় জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বেনাপোল বন্দরে ট্রাকে লোড করার সময় এসব পণ্য জব্দ করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে শাড়ি, থ্রি-পিছ, প্যান্টের কাপড়, বোরখা, সোফার কাপড়। আমদানিকৃত এসব পণ্যের কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। এর মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারত থেকে আসা এ চালানটি সোমবার সকাল ১০টায় বন্দরের ১৭ নম্বরের শেড ইনচার্জ আব্দুল মতিনের সহযোগিতায় আনলোড হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে পণ্যগুলো একটি কাভার্ডভ্যানে লোড করার সময় আটক করে কাস্টমস।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উন্নতমানের শাড়ি, থ্রি-পিছ, প্যান্টের কাপড়, বোরখা ও সোফার কাপড়ের একটি চালান কাভার্ডভ্যানে উঠানো হয়। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ উক্ত পণ্য আটক করে। তবে স্থলবন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ওই মালের স্বপক্ষে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
বন্দরের ১৭ নম্বর শেডের ইনচার্জ মতিন বলেন, এ পণ্য কার আমি জানি না। কীভাবে আমার শেডে নামলো তাও বলতে পারবো না।

শেডের চাবি তার কাছে থাকে, তাহলে কীভাবে এ অবৈধ পণ্য বন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রবেশ করল এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার এখানে প্রান্ত নামে একজন এনজিও কর্মী থাকেন। তিনি মিয়ান নামে এক সিএন্ডএফ এজেন্সির আব্দুল্লাহ নামে একজন বর্ডারম্যানের সহযোগিতায় শেডে পণ্য লোড-আনলোড করেন আমার অনুপস্থিতিতে।
তবে বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও বন্দরের কার্গো শাখা থেকে জানা যায় ওই নামে কোনো সিএন্ডএফ এজেন্ট নেই এবং আব্দুল্লাহ নামে কোনো বর্ডারম্যানও নেই।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ভারতীয় পণ্য নিয়ে আসছে। এদের কোনো সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স না থাকলেও তারা বেনাপোলের কয়েকজনের লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে এ কাজ করে থাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, কি পরিমাণ পণ্য আছে তা সরেজমিনে পরীক্ষা না করে বলা যাচ্ছে না। পরীক্ষা করে মঙ্গলবার জানা যাবে কত টাকার পণ্য ও কত টাকা রাজস্ব আসতে পারে।
তিনি জানান, আমদানিকৃত এসব পণ্যর কোনো কাগজপত্র এবং পণ্যের দাবিদার কাউকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram