২১শে মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সম্পাদকীয়
বেগবান হচ্ছে অর্থনীতি
173 বার পঠিত

বর্তমানে দেশের অর্থনীতির নানা সমস্যার মূলে রয়েছে মার্কিন ডলারের সংকট। ডলার সংকট ও দর বৃদ্ধির ফলে দেশের উৎপাদন, বিনিয়োগ ও ব্যবসা—বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। শিল্প খাত ছাড়াও বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানসহ সার্বিক উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনায় নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে। দেখা দিয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। জিনিসপত্রের বাড়তি ব্যয় মেটাতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। ব্যবসায়ীরা ডলার সংকটের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে পারছিলেন না। ডলারের জন্য ব্যাংকগুলোর দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে ক্রমবর্ধমান ডলারের দাম কিছুটা হলেও কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতে ২০২১ সালের আগস্টের পর থেকে ডলারের বিপরীতে কমতে থাকা টাকার মান প্রথমবারের মতো শক্তিশালী হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হলে পর্যায়ক্রমে ডলারের দাম আরও কমবে এবং একসময় বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। আগামী মাসের শুরুতে ডলারের দাম আরেক দফা কমানোর চিন্তা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানা গেছে, বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসায় বিদেশী ব্যাংকগুলোর কাছে বকেয়াও কমেছে। তবে আর্থিক হিসাবে ঘাটতিই রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটও প্রধান চ্যালেঞ্জ। মূল্যস্ফিতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ডিসেম্বর নাগাদ মূল্যস্ফীতি আট শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেগুলো ইতিবাচক দিকে যেতে শুরু করেছে। আর্থিক সূচকগুলোও ফিরছে ইতিবাচক ধারায়।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ডলার জমা রাখার হার বেড়েছে। কমেছে বাণিজ্য ঘাটতি। ব্যাংকগুলোয় বৈদেশিক দায় শোধের চাপ কিছুটা কমে এসেছে। বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসায় কমেছে রিজার্ভের ওপর চাপও। ডলারের দাম কমা ছাড়াও অর্থনীতির জন্য আরও সুখবর অপেক্ষা করছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮১ মিলিয়ন বা ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্সেও লেগেছে সুবাতাস। অক্টোবরের পর নভেম্বরেও রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে।

দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে আলোচিত ও উদ্বেগজনক সূচক বিদেশী মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। রেমিটেন্সে সুবাতাস অর্থনীতি আবার চাঙ্গাভাবে ফিরিয়ে আনবে বলে আশা করছেন অর্থনীতিবিদরা। সব মিলিয়ে বলা যায়, দেশের অর্থনীতি চলতি সংকট কাটিয়ে আবার বেগবান হতে শুরু করেছে।

সামনেই নির্বাচন। এখন অর্থনীতির গতিপথ ইতিবাচক না থাকলে তা জনগণের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সংশি¬ষ্টদের মতে, ঠিক সময়েই দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। যেহেতু রেমিটেন্স বাড়ছে, সেটা আরও সুখবর বয়ে আনবে। আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তির ঋণ ছাড়ও বড় একটা গ্রিন সিগন্যাল। এই ঋণ হাতে আসার পর বিশ্ব যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ভালো বার্তা পাবে, তেমনি সেটা রিজার্ভের নিরাপত্তার জন্যও হবে সহায়ক।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram