৯ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বৃষ্টিতে শহরের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা
বৃষ্টিতে শহরের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : তিনদিনের বৃষ্টিতে যশোর শহরের অনেক নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পর অনেক এলাকায় দ্রুত পানি সরে গেলেও নিচু এলাকায় সেই পানি আটকে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। যদিও পৌর কর্তৃপক্ষের দাবি ৯ ওয়ার্ডের কোথাও পানি জমেনি।


যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, অল্প বৃষ্টিতেই এলাকায় পানি জমে যায়। বৃষ্টি থামলেও কয়েক ঘণ্টা লেগে যায় পানি নামতে। অপরিকল্পিত ড্রেনের কারণেও অনেক স্থানে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বাড়ির ভেতরও পানি ঢুকে যায়। ড্রেনের ময়লা পানিতে একাকার হয়ে যায় নিচু এলাকা।


যশোর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত তিন দিনে (মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার) যশোরে ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার ভোরে ভারী বর্ষণের পর শহরের নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হয়।
খড়কি এলাকার শাহ আবদুল করিম সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, এই সড়কে সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের প্রধান ফটকের (দক্ষিণ গেট) পাশে খড়কি মোড়ে এক হাঁটু পানি জমে রয়েছে। পায়ের জুতা হাতে নিয়ে মানুষকে ওই অংশে পারাপার হতে হচ্ছে। এছাড়াও শহরের কারবালা, স্টেডিয়ামপাড়া, সার্কিট হাউসপাড়া, রায়পাড়া, শংকরপুর, ঘোপ কবরস্থান পাড়া, বেজপাড়া, তালতলা, নলডাঙ্গা রোড এলাকা, টিবি ক্লিনিক পাড়া, ষষ্ঠিতলা ও উপশহরের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।


এছাড়া শংকরপুরের নিচু এলাকায় ড্রেনের পানি উপচে প্রবেশ করে বাড়ির উঠোন এমনকি ঘরের মধ্যেও প্রবেশ করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃষ্টি হলেই এই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়েন পথচারী ও এলাকাবাসী।
টিবি ক্লিনিক পাড়ার আফজাল হোসেন বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই এলাকায় পানি জমে। ড্রেনের ময়লা পানিতে উঠোন ভেসে যায়। এই ময়লা পানিতে হাঁটার কারণে শরীরে ঘা ও চুলকানি হয়।


এমএম কলেজের ছাত্র নাজমুল সাকিব বলেন, আমি এমএম কলেজের ছাত্র। শাহ আবদুল করিম সড়কে দিয়ে আমাদের কলেজে যেতে হয়। এই সড়কের খড়কি মোড়ে হাঁটু সমান পানি জমে রয়েছে। পায়ের জুতা হাতে নিয়ে মানুষকে ওই অংশ পারাপার হতে হচ্ছে। একটু অসাবধান হলেই পুরো শরীর ভিজে যাবে এই ময়লা পানিতে।
শংকরপুরে আইয়ুব হোসেন বলেন, বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে গেছে গোটা এলাকা। ড্রেনের ময়লা পানির রোগজীবাণু শরীরে প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। একযুগের বেশি সময় ধরে এই কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। তারপরও পৌরসভার কোনো উদ্যোগ নেই।


তবে যশোর পৌরসভা মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ দাবি করেছেন, ‘যশোর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের কোথায় একফোঁটা বৃষ্টির পানি জমেনি। আমি নিজে আজ ৮-৯ জায়গায় গেছি কোথাও পানি পাইনি।’

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram