ক্রীড়া ডেস্ক : লেগস্পিনার নেই জেনেও একজন লেগস্পিনারের জন্য ২০১৪ সালে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কোচের চাওয়া পূরণ করতে গিয়ে দেশের নিবন্ধিত ক্রিকেটারদের তালিকায় একজন লেগস্পিনার খুঁজে পেয়েছিল ফারুক আহমেদের নির্বাচক প্যানেল। জাতীয় দলের নেটে খুঁজে পাওয়া যায় আরও একজনকে। লিগের লেগি তানভীর হায়দারকে বাদ দিয়ে হাথুরুসিংহে সেদিন বেছে নিয়েছিলেন আনকোরা তরুণ যুবায়ের হোসেন লিখনকে।
জাতীয় লিগে নাম তোলার আগেই জাতীয় দলে অভিষেক হলো তাঁর। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে টেস্ট অভিষেক করা লিখন ওয়ানডে, টি২০তেও খেলেন। এক বছরের ব্যবধানে জাতীয় দল থেকে হারিয়েও যান তিনি। রাসেল ডমিঙ্গো এসে পেলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে। জাতীয় দলের পুল থেকে তাঁর নামও কেটে দেওয়া হয়েছে। সময় এখন রিশাদ হোসেনের। তাঁর কাছ থেকেও যে জাতীয় দল দীর্ঘমেয়াদে সেবা পাবে, সে নিশ্চয়তা নেই। বিসিবি তাই বাধ্য হয়ে লেগস্পিনারের খোঁজে নেমেছে। দেশের ৬৪ জেলা থেকে হান্ট করেছে ৮০ জন লেগস্পিনার।
জাতীয় দলে ভালো খেলার পরও বিপিএল বা ঢাকা লিগে নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ পান না লেগি রিশাদ। কোচদের এই মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে লেগস্পিনার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া বলে জানায় বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ। লেগস্পিনার তৈরি করতে পাকিস্তানের সাবেক লেগস্পিনার শাহিদ মাহমুদকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। তিনিই জেলা ও বিভাগে ঘুরে ঘুরে খুদে লেগস্পিনারদের বাছাই করেছেন।
গত ছয় মাস দেশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ১০০-এর মতো লেগস্পিনারের একটা তালিকা করেছিলেন কোচ শাহিদ মাহমুদ। সেখান থেকে ট্রায়ালে ডাকা হচ্ছে ৮০ জনকে। ৩ ও ৪ মে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে ট্রায়াল হবে বলে জানান বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আবু ইমাম মোহাম্মদ কাওছার। তিনি বলেন, ‘ট্রায়াল থেকে ২০ জন বোলারকে সংক্ষিপ্ত তালিকায় রাখা হবে। তিন সপ্তাহের স্কিল ক্যাম্পের পর ১২ থেকে ১৫ জন নিয়ে দীর্ঘমেয়াদে পরিকল্পনা নেওয়া হবে।’
বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আবু ইমাম মোহাম্মদ কাওছার জানান, ঢাকা বিভাগে ১৮, বরিশাল বিভাগের ১৪, চট্টগ্রামের ১৩, খুলনা বিভাগের ১০, রংপুর বিভাগের আট, সিলেটের সাত আর রাজশাহী থেকে চারজন লেগস্পিনারকে ট্রায়ালের জন্য ডাকা হচ্ছে। বিসিবির জেলা ও বিভাগীয় কোচদের সহযোগিতা নিয়ে স্পিন হান্ট করেছেন শাহিদ মাহমুদ।