সমাজের কথা ডেস্ক : গত শনিবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। বিশ্বসেরার মর্যাদা পাওয়ার পর আরেক শনিবার এসে হারারেতে জিম্বাবুয়ের কাছে ১৩ রানে হেরে গেলো তারা। যদিও বিশ্বকাপে খেলা কেউ ছিলেন না এই জিম্বাবুয়ে সফরে। পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো স্বাগতিকরা।
হারারেতে টসে হেরে ফিল্ডিং নিয়ে রবি বিষ্ণয়ের দারুণ বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে ১১৫ রানে আটকে দেয় ভারত। হারারেতে এই রান করতে গিয়ে ভরাডুবি হয়েছে তাদের। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ১০২ রানে ভারতকে অলআউট করেছে স্বাগতিকরা।
বিশ্বকাপে খেলা দলকে বিশ্রাম দিয়ে জিম্বাবুয়ে সফরের দল ঘোষণা করে ভারত। কেবল ট্র্যাভেল রিজার্ভ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজে যাওয়া শুভমান গিল ছিলেন, তার কাঁধেই ছিল অধিনায়কত্ব। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা কিংবা রবীন্দ্র জাদেজাদের ছাড়া এলেও এই দলকে টি-টোয়েন্টিতে খুব বেশি অনভিজ্ঞ বলা যাবে না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক শর্মা, রিয়ান পরাগ ও ধ্রুব জুরেলের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হলো। যথাক্রমে ৫৭৩ ও ৪৮৪ রান করে আইপিএল রাঙিয়ে এই ম্যাচ খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অভিষেক ও রিয়ান।
অভিষেকেই চার বল খেলে ডাক মারেন অভিষেক। পাওয়ার প্লেতে ২২ রানের মধ্যে ফিরে যাওয়া চার ব্যাটারের মধ্যে ছিলেন রিয়ান (২)। তেন্দাই চাতারা এই সময়ে একই ওভারে নেন ২ উইকেট। ধ্রুবকে নিয়ে এই বিপদ কাটানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন গিল। কিন্তু দলীয় ৪৩ রানে এই জুটি ভেঙে যায়। ওপেনিংয়ে নেমে ৫ উইকেট পড়তে দেখা গিল ১১তম ওভারে বিদায় নিলে বড় বিপদে পড়ে ভারত। ২৯ বলে ৩১ রান করেন অধিনায়ক। সিকান্দার রাজা দারুণ বোলিংয়ে ভারতকে চেপে ধরেন।
একপ্রান্তে হাল ধরেছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ৮৬ রানে ৯ উইকেট পড়ার পর তার ব্যাটেই ক্ষীণ জয়ের সম্ভাবনা জাগে। শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ৩০ রান। জিম্বাবুয়েকে সহজে শেষ উইকেট দেয়নি ভারত। ওয়াশিংটন ১৮তম ওভারে ছয় ও চার মেরে ১২ রোন তুলে স্বাগতিকদের ঘাম ছোটান। তবে শেষ ওভারে প্রয়োজন ১৬ রানের হলে পেরে ওঠেননি তিনি। চাতারার দারুণ বোলিংয়ে ২ রানের বেশি নিতে পারেনি ভারত। বরং ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ওয়াশিংটন (২৭) মুজারাবানির ক্যাচ হন। ভারতের পক্ষে দুই ডিজিটের রান করা তিন ব্যাটারের অন্যজন হলেন আবেশ (১৬)।
সিকান্দার ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। তার চেয়ে একটি বল কম করে ১৬ রান দিয়ে সমান উইকেট পান চাতারা।
এর আগে বিষ্ণয়ের বোলিংয়ে চাপে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। ৩ উইকেটে ৭৪ রান করা দলটি ৯০ রানে হারায় ৯ ব্যাটারকে। স্বাগতিকদের পক্ষে ক্লাইভ মাদান্দে সর্বোচ্চ ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। শেষ জুটিতে চাতারাকে নিয়ে ২৫ রান তোলেন তিনি, যেটা বেশ ভালো পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। এছাড়া ডিওন মায়ার্স (২৩), ব্রায়ান বেনেট (২২) ও ওয়েসলি মাধেভেরে (২১) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। দারুণ বোলিংয়ের আগে ব্যাট হাতে ১৭ রান করেন সিকান্দার। অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে ম্যাচসেরাও তিনি।
বিষ্ণয় ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে চার উইকেট নেন। ওয়াশিংটন ২ উইকেট নিয়ে ভারতের দ্বিতীয় সফল বোলার।