নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালের চিকিৎসক সুদীপ্ত হাসান দ্বীপ্তকে আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। আটক দ্বীপ্ত যশোর শহরের পুরাতন কসবা ঘোষপাড়া ঢাকা রোড এলাকার তৈয়েমুর হোসেনের ছেলে। বৃহস্পতিবার আটক দ্বীপ্তকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই শরীফ আল মামুন।
বাদী পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। ছয় বছর পূর্বে ফেসবুকের মাধ্যমে ডাক্তার সুদীপ্ত হাসানের সাথে পরিচয়। এক পর্যায়ে বাদীকে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দেন। এরই মধ্যে দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২১ সালের ৩১ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সুদীপ্তের ভাড়া বাসায় বাদীকে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাঙ্গামাটি জেলার সাজেক ভ্যালিতে ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা ও ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সেখানকার রুই লুই কুইন রিসোর্টে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এই বিষয়গুলো সুদীপ্তের বাবা তৈয়েমুর হোসেন ও মা শামীমা আক্তার ছায়াকে জানানো হলে তারা বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
সর্বশেষ গত ১৯ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে সুদীপ্তকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাদীকে বিয়ে করে বাড়িতে নেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু সুদীপ্ত বিয়ের কথা অস্বীকার করে গালিগালাজসহ খুন জখমের হুমকি দেয়। এই ঘটনায় বুধবার থানায় এজাহার দেয়া হলে পুলিশ মামলাটি রেকর্ড বরে সুদীপ্তকে আটক করে।
যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঘটনা প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত ডাক্তার সুদীপ্তকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।