শাহ জামাল শিশির, ঝিকরগাছা (যশোর) : ফুলের রাজ্যখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী, পানিসারা অঞ্চল। সেই ফুলের রাজ্যের ছোঁয়া লেগেছে ঝিকরগাছা পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসে। পাঁচ একরের পুরো ক্যাম্পাস জুড়েই ফুলের সমারোহ। পাশাপাশি রয়েছে সবজি আর ফলগাছ।
২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর ঝিকরগাছা বাজারের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় পাঁচ একর জমিতে উদ্বোধন করা হয় যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি—১ এর আওতাধীন ঝিকরগাছা জোনাল অফিস।
বর্তমানে এটি দেখে মনে হবে বিদ্যুৎ অফিস নয়, যেন সুসজ্জিত পুষ্প উদ্যান। বর্তমান ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার টি.এম. মেসবাহ উদ্দিনের প্রচেষ্টায় পাঁচ একরের পুরো ক্যাম্পাসে ফুটেছে হরেক রকম ফুল। পাশাপাশি রয়েছে ফলদ, ভেষজ গাছসহ সবজি বাগান।
চারিদেকে যেন সবুজের সমারোহ। ফুলের সৌরভ আর সৌন্দর্য মানুষকে আকর্ষিত করছে বহুগুন। ফুল ছুঁয়ে সৌন্দয্যর্ উপভোগ করছেন অনেকেই। সবজিবাগানে রয়েছে প্রায় সবধরণের দেশি সবজি। কোনরকম কীটনাশক ছাড়াই অর্গানিক পদ্ধতিতে এসব উৎপাদন করা হচ্ছে। চারিদিকে ঘুরে দেখা যায়, পুরো এলাকাজুড়ে রয়েছে অন্তত ২০ রকম ফুল।
বাগানের মালি মতিয়ার রহমান জানান, পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে রয়েছে সূর্যমুখী, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, সিলভিয়া, ইনকা গাঁদা, হানিকম গাঁদা, জিনিয়া, সাইলেশিয়া, পিটুনিয়া, ক্যালেন্ডুলা, ন্যাস্টেসিয়াম, রজনীগন্ধাসহ অন্তত ২৫প্রকার ফুল। তিনি নিয়মিত এসবের পরিচর্যা করেন। তবে মাঝখানে অসময়ের বৃষ্টিতে কিছু ফুলগাছ মারা যাচ্ছে।
শুধু ফুল নয়, পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ফলদ গাছ ও সবজি। রয়েছে আম, বরই, বেদানাসহ অনেক ধরণের ফলগাছ। এছাড়া সবজি চাষের মাধ্যমে এলাকাজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। এখানে সরিশা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, বেগুন, টমেটো, মিষ্টিকুমড়া, ধনিয়াপাতা, গাঁজর, লালশাক, পালং শাক, সবুজশাক, পেঁয়াজ, রসুনসহ অনেকপ্রকার সবজি চাষ করা হচ্ছে।
ঝিকরগাছা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) টি.এম. মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ঝিকরগাছার গদখালী—পানিসারা হলো ফুলের রাজ্য। এই রাজ্যে বসবাসের সুবাদে ফুলচাষের প্রতি আলাদা ভালবাসা সৃষ্টি হয়েছে। ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ পল¬ী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিশেষ নির্দেশনায় প্রায় পাঁচ একর জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির ফুলগাছ রোপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ভেষজ ও ফলজবাগান করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় অর্গানিক পদ্ধতিতে দেশীয় সবজি চাষ করা হচ্ছে।