নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর কালেক্টরেট স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির বাছাইকৃত ৩০ জন শিক্ষার্থী এক বছরে বিশ্বের বিখ্যাত ১২টি বই পড়ে পাঠচক্রের মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন করেছে।
যে শিক্ষার্থীরা শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলতেই পারতো না; এখন তারা জনাকীর্ণ মঞ্চে দাঁড়িয়ে সুগঠিত শব্দ চয়নে বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি করতে পারে। সেই শিক্ষার্থীদের এক বছরের পাঠচক্রের প্রথম আবর্তনের সমাপণী ও সনদপত্র বিতরণ উৎসব করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে যশোর কালেক্টরেট স্কুলের মিলনায়তে এই অনুষ্ঠান করা হয়। যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠচক্রের সনদপত্র তুলে দেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে গিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বই পড়লে মানুষ মানবিক হয়। পরিবার ও দেশের ভালো করবে এমন নাগরিক হতে হলে বই পড়ার অভ্যাস রপ্ত করতেই হবে। বই হলো সবচেয়ে ভালো শিক্ষক ও অভিভাবক। গুণী মানুষ হতে বই পড়তেই হবে।’
অনুষ্ঠানে পাঠচক্রের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশিত হয়। ‘সপ্তাহে একটি বই পড়ি’ নামে সাহিত্য সংগঠনের পরিচালনায় ২০২১ সালের ৪ জুলাই যশোর জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত যশোর কালেক্টরেট স্কুলের বাছাই করা ৩০ শিক্ষার্থী নিয়ে বাংলাদেশে ছোটদের প্রথম পাঠচক্র ‘অধ্যয়ন সভা’ নামে যাত্রা শুরু করে। গতবছরের ১২ জুলাই শেষ হয়।
এসময়ের মধ্যে এই শিক্ষার্থীরা বিশ্বের বিখ্যাত ১২টি বই পড়ে কখনো বিদ্যালয়ের মাঠে সবুজ ঘাসে বসে আবার কখনো দূরে কোথাও গিয়ে সাহিত্য পাঠচক্র করেছে।
পয়লা ফাল্গুনে পাঠচক্রের সমাপণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোর কালেক্টরেট স্কুলের অধ্যক্ষ মো. মোদাচ্ছের হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোরের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সপ্তাহে একটি বই পড়ি’র প্রতিষ্ঠাতা শাহ্জাহান কবীর, জয়তী সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক অর্চনা বিশ্বাস, প্রথম আলোর যশোর প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যয়ন সভার শিক্ষা সহযোগী সুমন রেজা। পাঠচক্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে গান, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করে প্রীতিলতা দাস, রুপান্না আক্তার, মায়িশা ফাহমিদা সারথি, তাসনিম আক্তার ও জান্নাতুন নাঈম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যয়ন সভার বন্ধু শেখ নিশাত নাজিয়া ও ইরণা ফাইজা।