সমাজের কথা ডেস্ক : নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল শেষে সরকারিভাবে একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙতে ফি দেওয়ার নিয়ম আছে ২০ হাজার টাকা। কিন্তু বাংলাদেশ সড়ক পরিহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) এ জন্য দিতে হয় গড়ে ৮ লাখ টাকা। ২০ হাজার টাকার বাইরে অন্য টাকার কোনো ধরনের রসিদ নেই। তা ছাড়া এখানকার রোজকার কাজের বড় অংশের জন্যই শরণাপন্ন হতে হয় দালালের।
সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের (সওজ) সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী এই প্রতিষ্ঠানটিকে দালালমুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করে বলেছেন, তা না হলে মানুষ সুফল পাবে না।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের বাইরেও সেখানে উপস্থিত লোকজন বিআরটিএর নানা অনিয়ম সম্পর্কে সচিবকে অবহিত করেন।
সচিব আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের পর সশরীরে এক দিন উপস্থিত হয়ে টেস্ট ও বায়োমেট্রিক দেওয়ার পর কোনো লাইসেন্সপ্রার্থীকে বিআরটিএর কাছে যাওয়ার দরকার নেই। যদি দুইবার বিআরটিএতে যেতে হয় তাহলে আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেন। বিআরটিএকে আমি দালালমুক্ত করতে চাই।
দালালের কাছে কখনো যাবেন না। সঠিক প্রক্রিয়ায় আবেদন করেন, সেবা জনগণের দুয়ারে পৌঁছে যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশকে ডিজিটালি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে আর জনগণ তার সুফল পাবে না তা হতে পারে না। তবে জনগণকেও এর জন্য সচেতন হয়ে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
এ সময় বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, দুই ধরনের মানুষ বিআরটিএতে গিয়ে দালাল ধরেন। এক ধরনের মানুষ যাদের ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা নেই। অন্যরা হলেন ধনিক শ্রেণি, যাদের ডিজিটালি কিছু করার জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই। বিআরটিএতে যেভাবে সবকিছু করা আছে, তাতে দালাল ধরার কোনো দরকার নেই। যদি দালাল কেউ ধরেন, তা হলে বুঝতে হবে তার ঝামেলা আছে।