সমাজের কথা ডেস্ক : মাদকাসক্ত এক তরুণ পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার কয়েকদিন পর তার পরিবারের সব সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে । বুধবার নয়াদিল্লির পুলিশ বলেছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম কেশব (২৫) । তিনি তার বাবা-মা, বোন এবং দাদিকে হত্যা করেছেন।
পুলিশ বলেছে, কেশব এক মাস আগে গুরুগাঁওয়ের এক সংস্থা থেকে চাকরি ছাড়েন । দিওয়ালির সময় থেকেই বেকার ছিলেন তিনি। পরিবারের সব সদস্যকে হত্যার সময় তার মাঝে মাদকের প্রভাব ছিল বলে ধারণা করা করছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানায় , ঘটনাটি এমন একটি সময় ঘটেছে যখন নয়াদিল্লিতে ভয়াবহ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে, মাদকাসক্ত ওই পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা করেছে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত কেশবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির পালামে নিজেদের বাড়ি থেকে মঙ্গলবার রাতে ওই ৪ জনের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার ক্রা হয়। তাদের ধারালো কোনও বস্তু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতরা হলেন কেশবের দাদি দিওয়ানা দেবী (৭৫), বাবা দীনেশ (৫০), মা দর্শনা ও ১৮ বছর বয়সী বোন উর্বশী। তাদের প্রত্যেকের মরদেহ আলাদা আলাদা কক্ষে পাওয়া যায়।
হত্যাকাণ্ডের পর কেশব বাড়িতে থাকলেও পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন । কিন্তু স্বজনরা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।