নিজস্ব প্রতিবেদক : রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে যশোরের প্রশাসন। একদিকে যেমন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে, তেমনি জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও বাজার মনিটরিং ও অভিযান পরিচালনা করছে।
গতকাল যশোরে পৃথক অভিযান চালিয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাবিদ হোসেনের নেতৃত্বে রেলবাজারে অভিযান চালানো হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, এদিন বেলা ১১টার দিকে শহরের রেল বাজার এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ওই বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী সোহেল আহম্মেদকে ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। মূল্য তালিকা না থাকা এবং আড়াইশ’ টাকার মুরগি ২৬০ টাকায় বিক্রির অভিযোগে এই জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে একই বাজারের মাসুম বিল্লাহ ১১৩ টাকার চিনি ১১৫ টাকায় বিক্রির অভিযোগে ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
মূল্য তালিকা না থাকায় একই বাজারের মুদি দোকান ব্যবসায়ী তোরাব আলীকে ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু নাছিরের নেতৃত্বে সার্কিট হাউজের সামনে হৃদয়ের ফলে দোকানে অভিযান চালানো হয়। মূল্য তালিকা না থাকায় তাকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, আসন্ন রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে যশোর জেলা কার্যালয়। বুধবার যশোর শহরের বড়বাজার ও মণিরামপুর উপজেলার কুয়াদা বাজারে বিশেষ অভিযান পরিচালনায় দুই প্রতিষ্ঠানকে ৮হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানাযায়, যশোর বড়বাজারে আমদানিকারকের তথ্য ও সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য উল্লেখ না করে বিদেশি খাবার (চকলেট, বিস্কুট ও প্রসাধনী) নিজে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করার দায়ে জীবন স্টোরকে ৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও মণিরামপুর কুয়াদা বাজার মেসার্স মামুন ড্রাগ হাউজ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি ও বিক্রির উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় তাকে ৩হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব। উপস্থিত ছিলেন, ক্যাব যশোরের সদস্য আব্দুর রকিব সরদারসহ পুলিশের চৌকশ টিম।