নিজস্ব প্রতিবেদক ও অভয়নগর প্রতিনিধি : খাদ্য পণ্য মজুদকারীদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে যশোর প্রশাসন। গতকাল জেলার বড় বাজারে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান চালনা করা হয়। একই সাথে চালেন গুদামের অভয়নগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভয়নগরে দুটি প্রতিষ্ঠানে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।এদিকে পুলিশের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে বলেও সূত্র জানায়। এদের কেউ পোশাকে কেউ আবার খরিদ্দার বেশেও বাজার মনিটরিং করছেন।
বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখার লক্ষ্যে গতকাল শনিবার দুপুরে শহরের বড় বাজারে বিভিন্ন দোকান ও আড়তে এ অভিযান পরিচালিত হয়। যশোর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন, ফিরোজ কবির, জুয়েল ইমরান ও কোতয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক অভিযাসে নেতৃত্ব দেন।
অভিযানের সময় মূল্য তালিকা পরিদর্শন এবং সরকারের নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়। এ সময় যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা ছিল না, তাদেরকে সতর্ক করা হয়। পুলিশের এই অভিযানে ভোক্তা মহল সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের ধারণা এ রকম অভিযান নিয়মিত চললে অচিরেই বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি জানান, জেলার অভয়নগরে গম ও ডাল মজুদ করার দায়ে আকিজ এসেনসিয়ালস লিমিটেড ও মেসার্স সৈনিক ট্রেডার্স নামে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলার মশরহাটী গ্রামে এ রহমান পরশ অটো রাইস মিল সংলগ্ন গুদামে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক অভয়নগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি নিয়মে আমদানী করা গম ৩০ দিন ও ডাল ৬০ দিনের বেশি গুদামে রাখা যাবে না। অথচ আকিজ এসেনসিয়ালস লিমিটেড নামে একটি আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি গুদামে প্রায় ৬ মাস ধরে রাখা ২ হাজার ৪৬ মেট্রিক টন মসুর, ৪ হাজার ৯২৯ মেট্রিক টন মটর ডাল ও ৩১ মেট্রিক টন গম পাওয়া যায়। এগুলোর বেশিরভাগই পোকায় খেয়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া মেসার্স সৈনিক ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের দুটি গুদামে ৩ হাজার মেট্রিক টন গম পাওয়া যায়। যে গম প্রায় ৬ মাস ধরে গুদামে আটকে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য মজুদ করার অপরাধে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬ এর ৬ (১) ধারায় আকিজ এসেনসিয়ালস লিমিটেড কতৃর্পক্ষকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ও একই আইনে মেসার্স সৈনিক ট্রেডার্সকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মজুদকৃত পণ্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সমন্বয়ে আগামী ৩ দিনের মধ্যে বিক্রি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইদুর রহমান, থানা পুলিশের একটি দল, এলাকাবাসী ও সাংবাদিকবৃন্দ।