কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি বলেছেন, সুন্দরবনকে ভালবাসতে হলে প্রতিটি গাছ ও প্রাণীকে ভালবাসতে হবে। বাঘ সুন্দরবন সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
যে কারণে বাঘকে রক্ষা করতে হবে। সুন্দরবনে বন্য শুকর ও হরিণ পর্যাপ্ত থাকলে বাঘ এলাকায় আসে না। বাঘ খাদ্যের অভাব না হলে বন ছেড়ে লোকালয়ে যায় না। বাঘ সুরক্ষায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
এ জন্য মানসিক উন্নতির দরকার আছে। সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে জেলেদেরকে অন্য পেশায় নিয়োজিত করতে হবে। তিনি সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
শুক্রবার ১১ টায় কাশিয়াবাদ স্টেশন চত্বরে ভিটিআরটি ও সিপিজি সদস্যদের সমন্বয়ে বাঘ সংরক্ষণে সচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন। সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সুন্দরবন খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কয়রা—পাইকগাছার সংসদ সদস্য আলহাজ মো. আক্তারুজ্জামান বাবু।
এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন। বানিয়াখালী স্টেশন কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এস এম শফিকুল ইসলাম, সুন্দরবন পুর্ব বিভাগের (ডিএফও) কাজী মুহা. নুরুল করিম, খুলনা ডি সার্কেলের সিনিয়র পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এজেডএম হাছানুর রহমান, কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, মহারাজপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইউছুফ আলী, কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মন্ডল, নলিয়ান স্টেশন কর্মকর্তা তানজিলুর রহমান, কয়রা সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সরদার লুৎফর রহমান, ইউপি সদস্য আবু সাইদ, সিপিজি সদস্য সাইফুল ইসলাম, ভিটিআরটি সদস্য লুৎফর রহমান প্রমুখ।
এর আগে প্রধান অতিথি কালাবগী ইকো—টুরিজম কেন্দ্র ও হায়াতখালী বন টহল ফাঁড়ির নতুন ভবন উদ্বোধন করেন।