নিজস্ব প্রতিবেদক : বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া বাজারে এক ব্যবসায়ীকে মারপিট, দোকান ভাংচুর, নগদ টাকা ও মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বাঘারপাড়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান অভিযোগে উল্লেখ খ করেছেন, নারিকেলবাড়িয়া বাজারে কাপুড়িয়া পট্টির গলিতে সরকারি জমিতে ১৭৬ স্কয়ার ফুটের সেমিপাকা টিনের ঘর তৈরি করে তনিমা গার্মেন্টস অ্যান্ড বস্ত্রালয় নামে ব্যবসা করছিলেন তিনি। একযুগের বেশি সময় ধরে চলা এ প্রতিষ্ঠানের নামে নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স করেছেন। ওই দোকানের পাশে চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহার আত¥ীয় অমর কৃষ্ণ সাহার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নারিকেলবাড়িয়ার রিপন সাহা ও গ্রাম পুলিশ ড়্গত্রেপালার জামিলসহ ১০/১৫ জন লোক তার দোকানে যান। তারা তাকে(মেহেদীকে) মারপিট করে বের করে দেয়। এরপর তার ক্যাশ বক্স থেকে ৬৩ হাজার টাকা ও ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। পরে দোকানটি ভাংচুর করে।
মেহেদী হাসান জানান, এর কয়েক মাস আগে বাঘারপাড়া থানার এসআই রাজ পাল চেয়ারম্যানের পড়্গ নিয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক সাদা স্ট্যাম্পে স্বাড়্গর করিয়ে নেয়। আর সেই স্ট্যাম্পে তাকে ভাড়াটিয়া উলেস্নখ করা হয়েছে। ফলে তাকে দোকান ঘর থেকে উচ্ছেদের জন্য ওই দারোগা বিভিন্ন ধরণের মামলার ভয় দেখাচ্ছেন ।
এসআই রাজ পালের ০১৭৭৮৭৯২৪৪৬ নম্বর মুঠো ফোনে একাধিকবার রিং করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নারিকেলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহা বলেছেন, অনুপ সাহা ওই দোকানের মালিক। মেহেদী হাসান ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলো। দীর্ঘদিন ধরে তাকে ঘর ছেড়ে দিতে বলা হলেও ছাড়েন নি। ফলে এদিন তার দোকানের মালামাল সিজারলিস্ট করে ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ উদ্দিন বলেছেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদšত্ম করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাঘারপাড়া উপজেলা সহকারী ভুমি কর্মকর্তা (এসি ল্যান্ড) তামান্না ফেরদৌসি জানিয়েছেন, ঘটনায় কোন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।