ফকিরহাট ও চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট—১ (ফকিরহাট—মোল¬াহাট—চিতলমারী) আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দীন ২১৮২১৯ ভোটের ব্যবধানে ষষ্ঠ বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। শেখ হেলাল উদ্দিন (নৌকা) পেয়েছেন ২,২৩৪২৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী জাতীয় পার্টির মো. কামরুজ্জামান (লাঙ্গল) তিনি পেয়েছে ৫২১০ ভোট।
এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্ট (বিএনএম) এর মো. মঞ্জুর হোসেন শিকদার (নোঙ্গর) ২৭৯৬, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বাসুদেব গুহ (আম) ২০৬২, তৃনমূল বিএনপির মাহফুজুর রহমান (সোনালী আঁশ) ১৭৮৫ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস—এর আতাউর রহমান আতিকী (ডাব) ১১৭৫ ভোট পেয়েছে।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র ও বাগেরহাট—১ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি চিতলমারীতে ভোট প্রদান করছেন।
রবিবার (৭ জানুয়ারী) বেলা ১২ টার দিকে তিনি চিতলমারী সরকারী সামছুন্নেছা মেমোরিয়াল মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ভোট প্রদান করেন। শেখ হেলাল উদ্দীন চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ভোটার। এদিন উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের ৪০ টি কেন্দ্রে উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে।
ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি জানান, এর আগে সকাল ৮টা থেকে বাগেরহাটের ফকিরহাটে উৎসবমূখর পরিবেশে ও শান্তিপূর্নভাবে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। সারাদেশের মত এ উপজেলায় ৪৫টি নির্বাচনী কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিরামহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তবে পুরুষ ভোটারের থেকে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
এছাড়া নতুন ভোটারদের আগ্রহ দেখা গেছে অনেক বেশী। তারা অতি উৎসাহের সাথে ভোট প্রদান করেছেন। কয়েকজন নতুন ভোটারের সাথে আলাপকালে তারা জানান, এই প্রথম ভোট দিতে পেরে তারা অনেক খুশি।
এদিকে, ডহরমৌভোগ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা গেছে গীতা হীরা নামে ১০৫বছরের এক বৃদ্ধা তার ছেলের সাথে ভোট দিতে এসেছেন। বেতাগা ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছেলের হাত ধরে ১১০ বছর বয়সী দৃষ্টিহীন বৃদ্ধা ভোট কেন্দ্রে আসেন ভোট দিতে। পাশাপাশি বিভিন্ন কেন্দ্রে অনেক প্রতিবন্ধীদের ভোট দিতে আসতে দেখা গেছে।
নির্বাচনে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য বিভিন্ন আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরা মাঠে ছিল। কোথাও কোন অপ্রিতীকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়াও কোন প্রার্থীর নির্বাচন নিয়ে কোন অভিযোগ শোনা যায়নি।