নিজস্ব প্রতিবেদক : পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, ‘২৩ বছরের শোষণ বঞ্চনার মধ্যে থেকে বাঙ্গালী জাতি কোন ক্ষেত্রে প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারেনি। অনেক নেতা অনেক চেষ্টা করেছেন এই বাঙ্গালীর মুক্তির জন্যে। কিন্তু কেউ শেষ পর্যন্ত সফল হননি। একমাত্র ক্ষনজন্মা পুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশ স্বাধীন করতে সক্ষম হয়েছেন। আর সেজন্যেই আজ বাঙ্গালী সকল ক্ষেত্রে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে পারছে।
শুক্রবার রাতে যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে ভারত বাংলাদেশের দু’দিনের যৌথ চিত্র কর্মশালা ‘রিদম অব লাইফ’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর একটি ঐতিহাসিক মাস। ৫২ এর ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের সন্তানরা ভাষার জন্যে জীবন দিয়েছে। একটি স্বাধীন দেশে ৫৬ ভাগ বাঙ্গালী থাকলেও বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি না দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু আমরা রক্তদিয়ে তা অর্জন করেছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। শিল্পী আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য রাখেন উদীচী যশোরের সভাপতি তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ-সভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহামুদ হাসান বুলু ও শিল্পী স্বপন সরকার।
আলোচনাসভা শেষে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় শিল্পীরা হলেন রেশমি মুখার্জি, তপন কুমার দাস, শাশ^তী বোস, রণিতা দেব, পার্থ সারথী দত্ত, অলোক কুমার সরকার, শ্যামল কুমার নাথ, দেবাশিষ মাইতি, বিজয় দত্ত, নীলকান্ত মন্ডল, সর্বজিৎ রায়, মিনু দে, শেখ ইকবাল হোসেন ও স্বপন সরকার। বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন লাফিজা নাজনীন, ওবায়েদ জাকীর, অহিদুজ্জামান চাকলাদার মুকুট, নিখিল দাস, চঞ্চল সরকার, কৃষি গৌতম, সজল ব্যানার্জি ও রফিক উল্যাহ।
এর আগে, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্য ফাউন্ডেশন, স্বনাধীতি ও এস্থেটিক আর্ট ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে যশোর শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারিতে দুইদিনের যৌথ কর্মকশালা ও চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ক্যানভাসে তুলির আঁচড় দিয়ে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।