ক্রীড়া ডেস্ক : স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে এক সফরেই সফল বলা যায় মুশতাক আহমেদকে। পাকিস্তানের সাবেক স্পিন কিংবদন্তীর তালিমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছিলেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ছোট ফরম্যাট থেকে এবার বড় ফরম্যাটে নজর দিতে হচ্ছে মুশতাককে। লাল বলে বাবর আজমদের হারানোর লক্ষ্য নাজমুল হোসেন শান্তদের। তবে মুশতাক মনে করেন, ম্যাচ জিতব এমন বিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামতে হবে।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আপনি যখন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে আসেন তখন বিশ্বাস বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ । আপনি ম্যাচ জিতবেন সেই বিশ্বাস আপনার থাকতে হবে। আর কম্বিনেশনের কথা বললে সেটা পিচ দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তখনই বোঝা যাবে একাদশে কয়জন পেসার আর কয়জন স্পিনার থাকবে।’
এই সিরিজ দিয়ে পেয়ে যাচ্ছেন ভিন্ন দুই ছাত্রও। টেস্টের জন্য বাংলাদেশের দুই স্পেশালিস্ট স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ। দুজনকে নিয়ে কাজ করে বেশ মজাও পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান লেগ স্পিন কিংবদন্তী।
মুশতাক জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ দলের স্পিনাররা বেশ পরিণত। আমার কাজ হলো ওদেরকে ট্যাকটিক্যালি ও টেকনিকের দিক থেকে এগিয়ে দেওয়া। যত অভিজ্ঞই হন না কেন এগুলো আপনাকে শিখতেই হবে। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় তাইজুল, মিরাজরা শিখতে পারে। ওরা বোঝে কখন কি বলছি, তাই ওদেরকে কোচিং করানো সহজ।’
লাহোরে চলছে বাংলাদেশের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। এখান থেকে ১৭ তারিখ ইসলামাবাদে আরও তিনদিনের ক্যাম্প শেষে টেস্টের ভেন্যু রাওয়ালপিন্ডিতে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে ২১ আগস্ট থেকে দুই টেস্টের প্রথমটি শুরু।
ম্যাচ ভেন্যুতে পা রাখার এখনও অনেকটা দেরি বলে দলের কম্বিনেশন নিয়ে কোন আলোচনা করেননি মুশতাক। তবে পাকিস্তানকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়ে রেখেছেন, ‘বাংলাদেশ দলে দারুণ পেসাররা আছে। যদি পেস বোলিং সহায়ক কন্ডিশন করা হয় তবে সমস্যা নেই। আমাদের তিন পেসার খেলানোর সামর্থ্যও আছে। এটা ম্যাচের পিচ কেমন হয় তার ওপর নির্ভর করছে।’
এই সময়টায় বাংলাদেশে নিবিড় অনুশীলনে থাকার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু চলমান পরিস্থিতির কারণে সেই সুযোগটা হয়নি নাজমুল হোসেন শান্তদের। তবে পাকিস্তানে গিয়ে লাভ হয়েছে। মুশতাক জানালেন দেশের অস্থির পরিস্থিতি ভুলে ক্রিকেটাররা পরিপূর্ণ খেলাতেই মনযোগী আছে এখন।
এদিকে পাকিস্তান সফরেই আছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। পাকিস্তান শাহীনসের সঙ্গে সিরিজের প্রথম চারদিনের ম্যাচে অবশ্য বৃষ্টির বাগড়া পড়ছে বারবার। তৃতীয় দিনও বৃষ্টির বাধায় খেলা হয়নি। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১২২ রানের জবাবে পাকিস্তান শাহীনস তাদের ইনিংসে ৪ উইকেটে ৩৬৭ রান তুলেছে। ১৭৭ রান করেছেন উমর আমিন। বাংলাদেশ পিছিয়ে ২৪৫ রানে।