বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি : খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বাদামতলা ও বলাবুনিয়া গ্রামের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত খড়িয়া নদীর উপর ৫২ বছরেও ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। বাঁশের সাঁকোই সাত গ্রামের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।
বাদামতলা বাজারে আসতে গেলে বলাবুনিয়া, মাইটভাঙ্গা, বয়ারভাঙ্গা গ্রামের নারী পুরুষের এ সাঁকোই পার হতে হয়। আবার বাদামতলা হেতালবুনিয়া, ফুলতলা গ্রামের মানুষ এ সাঁকো হয়ে বয়ারভাঙ্গা বাজার ও স্কুলে যাতায়াত করেন। এ সাঁকো পার হতে যেয়ে অনেক শিক্ষার্থী শিশু দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। দু’পার থেকে মানুষ পারাপারের জন্য উঠলে তখন ক্রস করতে বিপাকে পড়তে হয়।
এসময় সাঁকো থেকে অনেকেই পানিতে পড়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ স্থানটিতে স্বাধীনতার পর থেকে সাঁকোর মাধ্যেমে দু’পারের সংযোগ স্থাপন হলেও, আজও তার উন্নয়ন ঘটেনি। স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এ সাঁকোর পাশে খান সেনাদের হাতে নিরীহ গ্রামবাসী হত্যার শিকার হয়। সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে দিয়ে তাদেরকে এলোপাতাড়ি গুলি করে এ নদীতে ফেলে।
বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিক্ষক মনোরঞ্জন মন্ডল বলেন, সাঁকোর স্থানে ব্রিজ করার জন্য দু’বার প্রায় অর্ধকোটি করে টাকা এসেছে। কিন্তু নদীর গভীরতার কারণে ঠিকাদাররা কাজ করতে পারেনি। ফান্ড একটু বেশি হলে তারা এখানে ব্রিজ করতে পারতেন।
বটিয়াঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পল্লব বিশ^াস রিটু বলেন, খড়িয়া নদীর আগায় বাদামতলা খালের উপর সাঁকোটি দীর্ঘদিনের। এর উপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম বলেন, সাঁকোটি সম্পর্কে এই মুহুর্তে কোন কিছু বলা সম্ভাব নয়। বিভিন্ন অফিসারদের সাথে আলাপ করে আগে আমাকে জানতে হবে সাঁকোটি কোন অবস্থায় আছে। পরে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
বটিয়াঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলাম খান বলেন, নদীটি আকারে ছোট হলেও এর উপর সাঁকোর গুরুত্ব অনেক। তাই বিষয়টি নিয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপনের পর যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেয়া হবে।