এস আর সাঈদ, কেশবপুর (যশোর) : মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মধুমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকেলে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত শুধু দেশের নয়, গোটা বাঙালির গর্ব। ব্রিটিশ ভারতে যশোরের এক সম্ভ্রাšত্ম কায়স্থ বংশে জন্ম হলেও মধুসূদন যৌবনে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে মাইকেল মধুসূদন হন এবং ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেন। জীবনের ২য় পর্বে মধুসূদন আকৃষ্ট হন নিজের মাতৃভাষার প্রতি। তার অমর কীর্তি অমিত্রাড়্গর ছন্দে রামায়নের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মহাকাব্য ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ সারাবিশ্বে সমাদৃত হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, উনবিংশ শতাব্দীর প্রথিতযশা বাঙালি কবি ও নাট্যকার মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা। বাংলা কবিতায় অমিত্রাড়্গর ছন্দ প্রয়োগ করে তিনি বাংলা সাহিত্যে নতুন মাত্রা যোগ করেন।
যশোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক হুসাইন শওকতের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে ও পায়রা উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দিন এমপি, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ কাজী রফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রম্নহুল আমিন, থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান মফিজ,
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মু¯ত্মাফিজুল ইসলাম মুক্ত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন। সার্বিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সৈয়দা তামান্না হোরায়রা ও জেলা শিশু বিষয়ক অফিসার সাধন কুমার দাস। আলোচনা সভার পূর্বে ও পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।