সুইডেনের পর এবার ডেনমার্কে পোড়ানো হলো পবিত্র কোরআন। শুক্রবার দেশটির রাজধানী কোপেনহেগেনে তুরস্কের দূতাবাসের কাছে অবস্থিত একটি মসজিদ ও তুরস্কের দূতাবাসের কাছে জঘন্য এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ প্রচার মাধ্যম আলজাজিরার এক খবরে বলা হয়, ডেনমার্কের উগ্র ডানপন্থি রাজনৈতিক কর্মী রাসমুস পালুদান ও তার দল হার্ড লাইনের অনুসারীরা জঘন্য এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
পালুদান ফেসবুকে লাইভে এসে এ বিষয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোতে যতদিন সুইডেনকে অšত্মর্ভুক্ত করা না হবে, ততদিন তিনি কোরআন পোড়ানোর এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সামরিক জোট ন্যাটোতে তুরস্ক যোগ দেয় ১৯৫২ সালে। নিয়ম অনুযায়ী, মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই জোটে নতুন সদস্য অšত্মর্ভুক্তির ক্ষেত্রে সদস্য প্রতিটি দেশের সম্মতির প্রয়োজন হয়।
নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকায় তুরস্ক এই জোটে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের অšত্মর্ভুক্তির বিরোধিতা করাছে। আর তাতেই ড়্গেেপছেন পালুদান। সুইডেন ও ডেনমার্কের দ্বৈত নাগরিকত্ব পালুদান গত ২১ জানুয়ারি স্টকহোমে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনাতেও সংশ্লিষ্ট ছিল।
তুরস্ক এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে । পালুদানকে সুইডিশ পুলিশ বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ আঙ্কারা সুইডেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর তুরষ্ক সফরও বাতিল করে দেশটি।
অপরদিকে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্ব এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বলেছে, ‘আমরা আমাদের পবিত্র গ্রন্থের ওপর জঘন্য হামলার সম্ভাব্য সবচেয়ে জোরালো ভাষায় নিন্দা জানাই।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার আড়ালে এই ইসলাম বিরোধী কাজের অনুমতি দেওয়া সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। মুসলমানদের লক্ষ্যবস্তু করে পরিচালিত এই কাজ আমাদের পবিত্র মূল্যবোধের অবমাননা করে।’
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনও বিক্ষোভের নামে উগ্র কট্টরপন্থি সমর্থকদের ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনা অত্যšত্ম অসম্মানজনক কাজ।
আমরাও এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে এ ধরনের কর্মকা- কখনো সভ্যসমাজ করতে ও মানতে পারেনা। তাদের এ ধরনের কর্মকা-ই প্রমাণ করে, তারা সভ্যতার তথাকথিত ধারক।
তুরষ্কর ভুমিকায় ড়্গুব্ধ হলে পালুদান ও তার রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ করতেই পারেন। কিন্তু তাই বলে সেই প্রতিবাদের ভাষা হবে কেন ধর্মীয় মুল্যবোধ ? আগুন ধরানো হবে কেন পবিত্র কোরআন শরীফে ? এটা কোন ধরনের সভ্যতা ? আমরা এই ‘সভ্যতা’র অবসান চাই। #