রূপদিয়া (যশোর) প্রতিনিধি : যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া বাজারে পশু হাট গত ১৪ই এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) থেকে বসছে না। বসলেও প্রশাসন তা উঠিয়ে দিচ্ছে। বর্তমান ইজারাদার ইব্রাহিম হোসেন সাবেক ইজারাদার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদকে দায়ী করছেন। আর ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন হাট নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে।
রূপদিয়া পশুহাটের স্থায়ী কোন জমি নেই। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত হাট বসতো রূপদিয়া ওয়েল ফেয়ার একাডেমি মাঠে পশুহাট বসতো। বিগত ২৭ বছরে ১০ বারেরও বেশি এই হাটের স্থান পরিবর্তন হয়েছে। প্রত্যেকবার ইজারাদাররা সুবিধামত জায়গা নির্ধারণ করে হাট বসিয়েছে। তবে গত পহেলা বৈশাখ থেকে হাটের ইজারাদার ইব্রাহিম হোসেন হাটের দায়িত্ব বুঝে নিলেও এখনও বাজারের কোথাও পশুহাট বসাতে পারেননি।
ইব্রাহিম হোসেন বলেন, হাটের সাবেক ইজারাদার রাজু আহম্মেদ পশুহাট বসাতে দিচ্ছেন না। তিনি আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছেন। তিনি হাটের কয়েকটা অংশ দাবি করছেন, না দেয়ায় তিনি হাট বসাতে দিচ্ছেন না।
চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ বলেন, একটি মহল এই হাট নিয়ে রাজনীতি করছে। আমি চাই এই পশুহাট রূপদিয়াতেই থাক। হাট না থাকলে আমাদেরই ক্ষতি হবে। তবে ঐ কুচক্রী মহল সু-কৌশলে ইজারাদারকে ব্যবহার করে হাট অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
রূপদিয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, রূপদিয়া বাজারে পহেলা বৈশাখ থেকে পশুহাট বসছে না। এভাবে চলতে থাকলে রূপদিয়া বাজার থেকে পশুহাট চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবে। বাজার ঐতিহ্য হারাবে। আমাদের ক্ষমতা সীমিত। আমরা সব পক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ দাশ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, হাটের দরপত্রের মূল্য ২৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। আয়কর ২ লাখ ৭১ হাজার টাকা, ভ্যাট ৪ লাখ ৬ হাজার টাকা, জামানত ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫শ টাকা। সর্বমোট ৩৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা।