চিতলমারী প্রতিনিধি : মাস খানেক পর কোরবানির ঈদ। ঈদকে ঘিরে ব্য¯ত্ম বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার খামারীরা। খামারীর খামারে কি চমক আছে এটা জানার আগ্রহে থাকেন মানুষ। এবার এ উপজেলার ৮৯৫ টি খামারের মধ্যে চমক দেখাতে ‘যুবরাজ’কে নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছেন সোনায়েত হোসেন (৫৫)।
সোনায়েত হোসেন জানান, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলাতলা গ্রামে তাঁর বসবাস। বাবার নাম শেখ শাহাজান। স্ত্রী, ছেলে-মেয়েদের নিয়ে জীবিকার তাগিদে কৃষিকাজ করেন। পাশাপাশি গরম্নর খামার। চার বছর আগে তার খামারে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভীর গর্ভে একটি এঁড়ে বাছুর (পুরম্নষ) জন্ম নেয়। আদর করে এটির নাম রাখেন ‘যুবরাজ’। যুবরাজকে তিনি দেশীয় ঘাস, খড়কুটো খাইয়ে পরম যত্নের সাথে লালন পালন করেছেন। চার বছরে যুবরাজের ওজন এখন ১৩০০ কেজি (সাড়ে বত্রিশ মণ)। দাম হেঁকেছেন ১৬ লাখ টাকা। কম-বেশী হলে এ বছরই তিনি যুবরাজকে বাজারজাত করবেন। তাই ক্রেতার অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, অনেক যত্ন করে যুবরাজকে লালন-পালন করেছেন। ওকে বিক্রি করতে কষ্ট লাগবে। তবুও করার কিছু নেই। ওর কষ্ট ভুলতে তিনি ওটাকে বিক্রির পর আরও একটি ছোট যুবরাজ আনবেন তার খামারে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আহমেদ ইকবাল বলেন, ‘এ উপজেলায় ৮৯৫ টি গবাদি পশুর খামার রয়েছে। কোরবানি উপলক্ষে খামারিরা পশু প্রস্তুত রেখেছেন। আমরা তাদের নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছি এবং সর্বাত¥ক সহযোগিতা করছি। সোনায়েত হোসেনের যুবরাজ এ বছর প্রদর্শনীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। আমরা চাই খামারীরা ন্যায্যমূল্য পাক।’