নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে দেশ পুনর্গঠনে নেমেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল একটি সুখী ও সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়ার। কিন্তু পঁচাত্তরের খুনিদের কারণে তাঁর স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের জন্য রক্ত দিয়ে আমাদের রক্তঋণে আবদ্ধ করে গেছেন। এখন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে তার রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বেজপাড়া সাদেক দারোগা মোড়ে যশোর পৌর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুজ্জামান বাদল’র আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় শাহীন চাকলাদার এমপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, সতর্ক থাকবেন। আগুন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত আবারও সন্ত্রাস চালাতে পারে। তাদের (বিএনপির) আন্দোলনে হাজার হাজার কোটি টাকা আসছে। এই টাকা কোথা থেকে আসে? আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল বিএনপি। আওয়ামী লীগের হাজারো নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে। কী অত্যাচার তাদের ওপর করা হয়েছে!
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর একটা দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রয়েছে, সেটি পাকিস্তানে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলবো, আপনি তত্ত্বাবধায়ক চাইলে পাকিস্তানে চলে যান। না হয় তত্ত্বাবধায়কের দাবি ছেড়ে নির্বাচনে আসুন। নয়তো আম ও ছালা দুটোই হারাবেন।
এমপি শাহীন চাকলাদার আরও বলেন, বিএনপি অশান্তির পথে হাঁটছে। সহিংসতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। তারা সন্ত্রাস করবে, সন্ত্রাস করে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে। আমাদের পরিষ্কার কথা। আওয়ামী লীগের দফা একটাই সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে।
এর আগে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বকচর হুশতলা এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মো. ইকবাল হোসেন ও যুবলীগের আয়োজনে এবং যশোরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এমএম রবিউল ইসলামের আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস’র আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ছিলেন শাহীন চাকলাদার এমপি।
অনুষ্ঠানগুলোতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউল হাসান হ্যাপী, জেলা নেতা রেজাউল ইসলাম, যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এস এম ইউসুফ শাহিদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুজ্জামান বাদল, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আলী হোসেন নয়ন, যশোর সদর উপজেলার সাবেক ভাইসচেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, পৌর কাউন্সিলার হাজী আলমগীর কবির সুমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিয়ামত উল্লাহ, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী, জেলা ছাত্র লীগের যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহমিদ হুদা বিজয়, যশোর পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রনি, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য রবি মোল্যা, তৌফিকুর রহমান সুমন, কৃষক লীগ নেতা আইয়ুব হোসেন, যুবমহিলা লীগনেত্রী শেখ সাদিয়া মৌরিন, খাদিজা খাতুন জুই, হালিমা খাতুন সীমা, ছাত্রলীগ নেত্রী তানিশা আক্তার রুমকী, ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন, সহ সভাপতি আকরাম হোসেন প্রমুখ।