সমাজের কথা ডেস্ক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের কোনো উৎসে কর দিতে হবে না। তারা ট্যাক্সের আওতার বাইরে থাকবেন ।
৩০ সেপ্টেম্বর সকালে গুলশানের একটি হোটেলে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক সহ দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে ‘বিএফএসআই ক্লাউড ও সাইবার সিকিউরিটি’ বিষয়ক এ কর্মশালার আয়োজন করে ফেলিসিটি ইন্টারনেট ডেটা সেন্টার।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিভিন্ন মহলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে, ফ্রিল্যান্সারদের কর দিতে হবে। এটা করে একটি চক্র বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। সঠিক তথ্য হচ্ছে— আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর দিতে হবে না ফ্রিল্যান্সারদের।
এর আগে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের পরিচালক (এফইপিডি) মো. সরোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সার্কুলার জারি করে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো হয়েছে।
করারোপের খবর নিয়ে দেশের ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও জানাচ্ছেন অনেকে। এরি মধ্যে শনিবার সকালে এ বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
<< আরও পড়ুন >> জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বান পলকের
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং কাজের বাজারের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। তারা আপওয়ার্ক, ফাইভআর, ফ্রিল্যান্সার, গুরু, পিপলপারআওয়ারের মতো বিশ্বের নেতৃস্থানীয় চাকরির বাজারগুলোতে অনলাইনে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনছেন।
এর পাশাপাশি দেশের মধ্যে ব্লগ লিখে ও অডিও—ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট বানিয়ে গুগল, ফেসবুক থেকেও আয় করছেন বহু মানুষ। মার্কেট প্লেসগুলোতে অ্যাকাউন্টের হিসেবে, ফ্রিল্যান্সিংয়ে শীর্ষস্থানীয় দেশ ভারতের পরেই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান।