সমাজের কথা ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন। জুলাই মাসে রায় ঘোষণার পরেও তিনি রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পান কিনা, সে বিষয়ে জল্পনাকল্পনা চলছে।
নিউইয়র্কের এক আদালত বৃহস্পতিবার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলায় সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা ৩৪টি অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ব্যবসার নথিপত্র গোপন করে স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামের এক পর্ন তারকার মুখ বন্ধ করতে ট্রাম্প অন্যায় করেছেন বলে জুরির সব সদস্য একযোগে তাকে দোষী হিসেবে গণ্য করেছেন। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রাম্প এমন কুকীর্তি করেছিলেন বলে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছিল। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন নি।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা চলছে। তবে নির্বাচনের আগে সে সব মামলায় চূড়ান্ত রায়ের আশা করা হচ্ছে না।
এমন ‘ঐতিহাসিক' ঘটনার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে নানা রকম প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার আদালতের সিদ্ধান্ত এবং আগামী ৫ই নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত অন্যান্য মামলায় অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে, ট্রাম্প আদৌ নির্বাচনে প্রার্থী থাকতে পারবেন কিনা। সেই বাধা না থাকলেও কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে কোনো প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করা সম্ভব কিনা, সেই বিষয়টিও আইনি বিশেষজ্ঞদের ভাবাচ্ছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর আদালত আউন অনুযায়ী প্রতিটি অভিযোগের কারণে ট্রাম্পকে চার বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের রায় দিতে পারে। কিন্তু তাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে না বলে অনুমান করা হচ্ছে। আগেই তিনি জামিন পেয়েছিলেন। আগামী ১১ই জুলাই আদালত রায় দেবে বলে বিচারপতি জানিয়েছেন। এর ঠিক চার দিন পরেই রিপাবলিকান দলের কনভেনশনে ট্রাম্পের আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন পাওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করলে ট্রাম্প নিজেকে ক্ষমা করার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন বলে কিছু আইনি বিশেষজ্ঞ মনে করছেন।