নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের বেনাপোলে মোবাইলে ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করায় এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে, শহরের সিটি কলেজপাড়ায় স্বামীর উপরে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন স্ত্রী।
মৃতরা হলেন, বেনাপোল পোর্ট থানার বালুন্ডা গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী তন্নী মন্ডল (১৫) ও শহরের সিটি কলেজ পাড়া এলাকার ফরিদ হোসেনের স্ত্রী নাঈমা খাতুন (২০)।
স্বজনরা জানান, পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করায় মায়ের উপরে অভিমান করে তন্বী মন্ডল (১৫) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার (৩ মে) দিবাগত রাতে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বালুন্ডা গ্রামে নিজ বাড়িতে ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
তন্বী মন্ডল বালুন্ডা গ্রামের জেলে পাড়ার শ্রী রাম মন্ডলে মেয়ে। সে এ বছর বালুন্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।
তন্বীর পরিবার জানায়, বুধবার রাতে পড়ার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিল তন্বী। মোবাইল ব্যবহার করতে দেখে তার মা বিলাসী রানী তাকে বকাবকি করেন। এতে সে মায়ের ওপর অভিমান করে নিজ ঘরে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। তন্বী মন্ডলের মা ভোরে ঘুম থেকে উঠে জানালা দিয়ে ঘরের মধ্যে ফ্যানের সাথে মেয়েকে ঝুলতে দেখেন। এরপর পরিবারের লোকজন সহ প্রতিবেশিকে ডাকাডাকি করে তন্বীর ঝুলন্ত মরদেহ নিচে নামানো হয়।
বেনাপোল পৌর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বালুন্ডা গ্রাম থেকে তন্বী মন্ডল নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের সিটি কলেজ পাড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর উপরে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে নাঈমা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেন। নাঈমা খাতুন (২০) শহরের সিটি কলেজ পাড়া এলাকার ফরিদ হোসেনের স্ত্রী।
মৃতের স্বজন আছিয়া বেগম জানান, বুধবার সকালে পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী বাড়ি থেকে বাইরে চলে গেলে স্ত্রী নিজ রুমে আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। উভয়ের লাশের ময়না তদন্ত বুধবার দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে সম্পন্ন হয়েছে।