সমাজের কথা ডেস্ক : সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা ফের তিনদিনের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে সারাদেশে সরকারি কলেজ, মাদ্রাসা, শিক্ষা অধিদপ্তর, দপ্তর, সংস্থাগুলোতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। পুরো শিক্ষা প্রশাসন স্থবির হয়ে পড়েছে। পদোন্নতি বৈষম্যের প্রতিবাদে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন। তবে কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনকে ইতিবাচকভাবে দেখছে না জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে নতুন কর্মসূচি ‘সর্বাত্মক কর্মবিরতি’ শুরু করেছেন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা। ‘বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি’ তিন দিনের এই কর্মসূচি আহ্বান করেছে। দেশের সব সরকারি কলেজ, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম), শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস), পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ), বাংলাদেশ জাতীয় ইউনেস্কো কমিশন (বিএনসিইউ), আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক—কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এবংমাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডগুলোতে এ কর্মবিরতি পালন হচ্ছে।
শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনকে অসদাচরণের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তিনি নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা মেনে চললে এই কর্মকর্তারা এভাবে আন্দোলন করতে পারেন না।
তবে আন্দোলনকারীরা বলছেন, দাবি পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় সর্বাত্মক কর্মবিরতি ডাকা হয়েছে। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির মহাসচিব শওকত হোসেন মোল্ল্যা বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এ কারণে সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টানা তিন দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।