সমাজের কথা ডেস্ক : ফেনীতে পৃথক স্থান থেকে পর পর দুই দিনে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এক নারীর পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। অন্য এক নারী ও দুইজন পুরুষের পরিচয় মেলেনি। বন্যার পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার (৩০ ও ২৯ আগস্ট) জেলার সদর, ফুলগাজী ও সোনাগাজী উপজেলার পৃথক স্থান থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলের দিকে ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া এলাকায় নদী থেকে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার বয়স আনুমানিক ৭০ বছর। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলনের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আল মারকাযুল ইসলামের মাধ্যমে মরদেহটি ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাটে কিল্লার দিঘির পশ্চিম পাশ থেকে বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া রজব বিবি (২৩) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রজব বিবি উপজেলার উত্তর ধর্মপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম নুরু মিয়ার মেয়ে। পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এদিন দুপুরে ও সন্ধ্যায় সোনাগাজীতে মুহুরী প্রকল্প ও চর আবদুল্লাহ এলাকা থেকে আরও দুটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজনের বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। অন্যজনের ৩০ বছর। তাদের পরনে লুঙ্গি ছিল। উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে না পারায় স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ওই দিন উপজেলার চরসাহাপুর এলাকায় জানাজা শেষে একজনের দাফন করা হয়। অর্ধগলিত আরেকটি মরদেহ চরদরবেশ ইউনিয়নের আদর্শগ্রাম এলাকায় জানাজা শেষে দাফন করেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে ফুলগাজী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছে। বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে দুই মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায়। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বন্যার পানিতে ভেসে গিয়ে তাদের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছি। পুলিশ অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়দের মাধ্যমে দাফন সম্পন্ন করেছে।