কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়ন ও আশপাশের এলাকার কৃষকেরা। কৃষি নির্ভর এই এলাকায় কম সময় ও অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে ঝুঁকছে চাষিরা।
শীতকালীন সবজি হিসেবে ফুলকপি ও বাঁধা কপি চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন কচুয়া উপজেলার মাদারতলা গ্রামের নুরুল ইসলাম খানের ছেলে কৃষক ফাইজুল ইসলাম খান। গত বছর শীত মৌসুমে ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করে ভালো লাভ করেন তিনি। এবছর তিনি ৭০ শতাংশ জায়গায় ৬২১ জাতের বাঁধাকপি ও ফুলকপির চাষ করছেন। কোন বালা মসিবত না হলে ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ করলে দেড় লাখ টাকার মতো লাভের আশা তার। তিনি আরো ৫ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের ফসল আবাদ করেছেন। এছাড়াও তিনি চিংড়ি চাষের সাথেও জড়িত রয়েছেন।
তার পাশাপাশি একই এলাকার আলামিন খান, বনি খান, সলেমান মোল¬া, বাশারত শেখসহ অনেকেই এধরনের চাষাবাদ করে ভালো লাভবান হচ্ছেন। মুলত কম সময়ে, অল্প পরিশ্রমে ও স্বল্প খরচে অধিক মুনাফার আশা নিয়ে এ কপি চাষ করে তারা এখন সফলতার স্বপ্ন দেখছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান ক্লেবক্স হাইব্রিড ফুলকপি জমির উব্বর্রতা অনুসারে প্রতিটি কপির ওজন দেড় থেকে ২ কেজি পর্যন্ত হয়। কপি অত্যন্ত ঠাঁসা, রং ধবধবে সাদা তাই বাজারে ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বেশি এবং ৬৫ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে বাজার জাত করা যায়। আর বাঁধা কপির ফলন ও এখানে অনেক ভালো হয়। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি যদি ভালো থাকে তবে ন্যায্য মূল্য পাওয়ার আশা তাদের।
কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মামুনুর রশীদ বলেন, এ ধরনের চাষাবাদে আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। মাঠ পর্যয়ে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা এ চাষাবাদে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করছেন।