২৮শে নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
'ফিলিস্তিন ইস্যুতে আরব বিশ্ব দোদুল্যমান, তবে'...

সমাজের কথা ডেস্ক : সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ুন কবির বলেছেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে কোনো বিভক্তি নেই, সবাই ফিলিস্তিনের পক্ষে। ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে আরব বিশ্ব দোদুল্যমান। এখনো তারা জোটবদ্ধ হতে পারেনি। তবে এবার নড়েচড়ে বসেছে।

এই যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কথোপকথন শুরু হয়েছে, এটি ইতিবাচক। ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ একটি সহিংস চক্রের মধ্যে পড়েছে। এই যুদ্ধে ফিলিস্তিনই ন্যায়ের পক্ষে আছে। এটি হঠাৎ কোনো ঘটনা নয়, দীর্ঘ বঞ্চনার প্রতিফলন।

গাজায় আজ যে নৃশংসতা ও মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে দুটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ। যাতে দুটি রাষ্ট্র পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে পারে।

জাতিসংঘ ছাড়া আর কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যারা ইসরাইল-ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতা করতে পারে। তাই বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করে ফিলিস্তিন ইসরাইল সংকট সমাধানে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে।’

২৭ অক্টোবর ঢাকার এফডিসিতে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ুন কবির এসব কথা বলেন।

ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট শিরোনামে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদহমেদ চৌধুরী কিরণ।

কিরণ বলেন, ‘গাজায় খাদ্য নেই, পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, চিকিৎসা নেই। হাসপাতালে লাশের সারি। চতুর্দিকে লাশের গন্ধ। বেঁচে থাকা মানুষগুলো তাঁবুতে অবস্থান করেও মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে পারছে না। রাতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা, শীতবস্ত্র নেই। দিনে আবার প্রচণ্ড গরম। ছোট্ট শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছে গাজাবাসী।

আন্তর্জাতিক মহলের অনুরোধে যে সামান্য ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে গাজার মানুষ বলছে তার চেয়ে বেশি অশ্রু ও রক্ত ঝরেছে। অনেক জায়গায় দেখা গেছে পরিবারের সবাই মারা গেলেও দুই একজন বেঁচে আছে যেন স্বজনদের লাশ শনাক্তের জন্য। নিরাপদ আশ্রয়ের যাবার কথা বলে সবাইকে একত্রিত করে সেখানে বোমা মারছে ইসরাইল।

মসজিদ, গির্জা ও হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানও ধ্বংস করে দিচ্ছে। বোমা হামলায় হাসপাতালগুলো ধ্বংস করায় পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে ফিলিস্তিনের চিকিৎসা ব্যবস্থা। সন্তানের ছিন্ন বিচ্ছিন্ন লাশ শনাক্ত করতে পারছে না বাবা-মা।

মাথার খুলি ভাঙা, ছিন্ন বিচ্ছিন্ন অনেক শিশুর লাশ হাসপাতালে আনা হচ্ছে। তাই অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের শরীরের বিভিন্ন অংশে নাম লিখে রাখছেন। যাতে হামলায় মারা গেলেও নিজ সন্তানের মৃতদেহটি খুঁজে পাওয়া যায়। এই বর্বরতার অবসান হওয়া উচিৎ।’

কিরন আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকট সমাধানে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোকে এক টেবিলে বসে আলোচনা করা উচিৎ। যাতে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়।

সমঝোতার মাধ্যমে এই সংকটের অবসান ঘটিয়ে দুটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠন করা এখন সময়ের দাবি। যাতে ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email : samajerkatha@gmail.com
পুরাতন খবর
Fri Sat Sun Mon Tue Wed Thu
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram