ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ইসরায়েলের দক্ষিণে এখনো হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামাসের হামলায় নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৪০০ ছাড়িয়েছে।
ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) দাবি করেছে, গত রাতে ইসরায়েলি বাহিনী হামাস ও ইসলামিক জিদাহের ৫০০ স্থাপনায় হামলায় চালিয়েছে। হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান ও আর্টিলারি দিয়ে এসব স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে।
হামাসের ও ইসলামিক জিহাদের কমান্ডার সেন্টারেও হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে আইডিএফ। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বাস করেন। গত শনিবার সকালে যখন হামাস সেনাদের ইসরায়েলে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখন সেখানকার মানুষ উল্লাস করছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকেই সেই চিত্র পুরোপুরি পাল্টাতে শুরু করে।
হামাসের হামলার জবাবে পাল্টা রকেট ও বোমা হামলা করে ইসরায়েলের বাহিনী। গাজা উপত্যকার নাগরিকরা আতঙ্কে ঘর ছাড়তে শুরু করেন। এরই মধ্যে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎসহ খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল।
গাজার নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ঐ এলাকার বিদ্যুৎ চাহিদার সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পূরণ করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় উদ্ধারকৃতদের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাপকভাব ব্যহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
জাতিসংঘের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের শুরু করা বিমান হামলায় এক লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রবিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা পর্যন্ত প্রায় ৭৪ হাজার গাজাবাসী ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।