৮ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রীতি জিন্টা
প্রীতির ভাল থাকার মূল মন্ত্র কী?
বিনোদন ডেস্ক : বয়স ৪৯। প্রীতি জিন্টাকে দেখলে বোঝাই যায় না। টিভির পর্দা বা সমাজমাধ্যমের ছবি— তাঁর গালে টোল ফেলা কিশোরীসুলভ হাসি এখনও একই রকম আকর্ষণীয়। তবে তার থেকেও বেশি আকর্ষণীয় তাঁর জীবন। প্রীতির সমাজমাধ্যমের ছবি ভিডিয়োয় নজর দিলে দেখা যাবে তিনি নিজের চেহারা ভাল রাখার জন্য শরীরচর্চা যেমন করছেন, তেমনই পরিবারের সঙ্গে সময়ও কাটাচ্ছেন আবার তিনিই আইপিএলের ক্রিকেট টিম সামলে বজায় রেখেছেন অভিনয়ের কাজও। পঞ্চাশের দোরগোড়ায় পৌঁছেও সব দিক বজায় রেখে এ ভাবে ভাল থাকেন কী করে? জবাব প্রীতি নিজেই দিয়েছেন তাঁর ইনস্টাগ্রামের একটি ভিডিয়োয়।
ইনস্টাগ্রামের ওই ভিডিয়োয় প্রীতিকে দেখা যাচ্ছে জিমে ঘাম ঝরাতে। একটি ক্রাঞ্চ প্যাডের ঢালু অংশে শুয়ে আছেন তিনি। হাঁটু দু’টি উপরের দিকে আটকানো। মাথা নীচে। সেখান থেকে পিঠের ভরে মাথা তুলে হাঁটুর কাছাকাছি নিয়ে আসছেন অভিনেত্রী। পেট এবং পেটের নীচের অংশের পেশিশক্তি বৃদ্ধির ওই কসরতের নাম ‘ক্রাঞ্চ’। যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁরা জানেন, ক্রাঞ্চ করা মুখের কথা নয়। একটানে যিনি ১০টি করতে পারেন, বুঝতে হবে, তিনি শারীরিক ভাবে বেশ ফিট। জিমে প্রথম বার ক্রাঞ্চ করে পেটের পেশির ব্যথায় অস্থির হতেও দেখা গিয়েছে অনেককেই। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে প্রীতি তেমন ক্রাঞ্চ একের পর এক করেই চলেছেন! একটা সময়ের পর বোঝা যাচ্ছে তাঁকে অনেকটাই জোর দিতে হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি থামছেন না। শারীরিক ভাবে প্রীতি কেন ফিট এবং তার জন্য তিনি পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই বয়সেও কতটা পরিশ্রম করেন, তা স্পষ্ট হয়ে যায় ওই ভিডিয়োতেই। তবে শুধু সেটিই প্রীতির ভাল থাকার মূল মন্ত্র নয়।

তবে প্রীতির ভাল থাকার মূল মন্ত্র কী? প্রীতি সে কথা জানিয়েছেন ওই ভিডিয়োর বিবরণে। তিনি লিখেছেন, ‘‘নিজেকে আরও ভাল, আরও শক্তিশালী এবং আরও সুস্থসবল করে তোলার কোনও বাঁধাধরা সময় হয় না। ছুটির দিন হোক, কাজের দিন হোক, সে চেষ্টা তোমায় নিরন্তর চালিয়ে যেতে হবে। আর একটা কথা, চেষ্টা যদি তোমাকে চ্যালেঞ্জ না করে, তবে তা থেকে কোনও বদল আসবে না। তাই চেষ্টা করতে থাকো, নিজেকে আরও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে থাকো। ধারাবাহিকতা নষ্ট হতে দিও না। নিজেকে ভালবাসার থেকে ভাল আর কিছু হয় না।’’
প্রীতির বক্তব্যটি যে খাঁটি তা মানছেন মনোবিদেরাও। তাঁরা বলছেন, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই যে প্রতিকূল পরিস্থিতিই মানুষের মধ্যে স্থায়ী বদল আনে। তবে তার মানে এই নয়। বদলানোর জন্য প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়েই যেতে হবে। নিজে নিজেকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে হবে। তা ১০০টা ডন বৈঠকের চ্যালেঞ্জ হলেও চলবে। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ জেতার পর মনের মধ্যে যে আনন্দ হবে, তা মানুষকে আরও কঠিনতর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram