সমাজের কথা ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত সময়ে তফসিল ঘোষণার জন্য প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান বিবাদের মধ্যেও পুরোদমে এগিয়ে চলেছে নির্বাচন কমিশন।
ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সামগ্রী ইসিতে পৌঁছতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহে শুরু হবে মাঠপর্যায়ে বিতরণ। নির্বাচনী সামগ্রী ক্রয়, প্রশিক্ষণ ও সার্বিক প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, আমাদের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। এখন কেবল তফসিল ঘোষণাই বাকি।
এদিকে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণায় অনড় বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। কূটনৈতিক মহলও সব দলের অংশগ্রহণ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণে সরকার, ইসি, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে তাগিদ দিচ্ছে।
এসবের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চললেও যথাসময়ে নির্বাচন আয়োজনে এগিয়ে যাচ্ছে ইসি। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়েও চিন্তিত নয় কাজী হাবিবুল আউয়ালের কমিশন।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি আমার দৃষ্টিতে, কমিশনের দৃষ্টিতে শান্তিপূর্ণ। উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি।
নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পর্কে ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচনের উপকরণ সংগ্রহের কার্যক্রম শেষের দিকে। শিগগিরই এসব জেলা পর্যায়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে কিছু উপকরণ ভোটের আগের দিন, কিছু ভোটের দিন সকালে নির্ধারিত কেন্দ্রগুলোয় পাঠানো হবে।
ইসির নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমও চলছে পুরোদমে। ইতোমধ্যে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় কমিশনারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ২৮ ও ২৯ অক্টোবর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া ভোটগ্রহণের এক সপ্তাহ আগে ১০ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এদিকে আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ কার্যালয়গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা এবং জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। তবে নভেম্বরের ১২ তারিখ পর্যন্ত সরকারের কিছু মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের দিন ধার্য করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ১২ নভেম্বরের পরে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চলতি একাদশ সংসদের প্রথম বৈঠক বসেছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সেই হিসাব অনুযায়ী, বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি।
বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ বহাল রেখে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি থেকে এর পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।