নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের মণিরামপুরে প্রভাষক উদয় শংকর হত্যা মামলার আরও চার আসামিকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। বুধবার তাদের গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, অভয়নগর উপজেলার সরখোলা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আল আমিন মোল্লা, একই গ্রামের হান্নান মোল¬ার ছেলে সুমন হোসেন, শহিদুল ইসলামের ছেলে শামীম হোসেন ও মণিরামপুর উপজেলার পাঁচাকড়ি গ্রামের মৃত সালাম গাজীর ছেলে রাসেল কবীর।
তাদের মধ্যে দু’জন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে। এর আগে পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে আরও দু’জনকে আটক করে। আটককৃতরা স্বীকার করেছে, বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে ও ঘের নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে উদয় শংকরকে হত্যা করা হয়।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রূপন কুমার সরকার জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আমিরুল ইসলাম ও এসআই মফিজুল ইসলামের সমন্বয়ে একটি টিম ১৭ জানুয়ারি দুপুরে অভয়নগর উপজেলার সরখোলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ছয়টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের স্বীকারোক্তিতে মণিরামপুরের পাচাকড়ি গ্রাম থেকে রাসেলকে আটক করে।
ডিবি পুলিশ আরও জানায়, আটকের পর আসামিরা জানিয়েছেন, মুলত টেকেরঘাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে ও ঘের নিয়ে উদয় শংকর ও আরেক আসামি পবিত্রের সাথে দ্বন্দ্ব হয়। তার জেরে শংকরকে হত্যার পরিকল্পনা করে পবিত্র।
একপর্যায়ে আল—আমিনকে স্কুলের দপ্তরির চাকরি দেয়া ও মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে উদয়শংকরকে মারার জন্য বলা হয়। এজন্য তাকে অস্ত্রগুলি দেয় উত্তম। ঘটনার দিন সকালে আল—আমিন ও সুমন তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে পাঁচাকড়ি গিয়ে অবস্থান নেন। সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার মধ্যে উদয় শংকর টেকেরঘাট বাজার থেকে ফেরার পথে আল—আমিন মোল্লা তার পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতেন মা হত্যা মামলা করেন। ডিবির অনুসন্ধানে কয়েকজন আটক হলেও দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিলেন ওই চারজন। ডিবি তাদের অবস্থান শনাক্ত ও আটকের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করে।
এর আগে উদয় শংকর বিশ্বাস হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে পুলিশ দু’জনকে আটক করেছিল। আটককৃতরা হলো— পাঁচাকড়ি গ্রামের অনিল চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে পরিতোষ বিশ্বাস ও একই গ্রামের মৃত নিখিল দাসের ছেলে উত্তম দাস।