৬ই ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
জঙ্গলবাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়
প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তদন্ত দাবি
104 বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর সদর উপজেলার জঙ্গলবাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সঠিক তদন্তের দাবিতে জেলা প্রশাসক বারবার স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, প্রধান শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের অভিযোগের তদন্ত গিয়ে অসম্পন্ন রেখেই ফিরে গেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম আজম। তিনি প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছিলেন।

বুধবার বিকেলে জঙ্গলবাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দুজন সদস্য এই স্মারকলিপি দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক এবার বিষয়টি নিজেই দেখবেন বলে জানিয়েছেন ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য শফিকুল ইসলাম।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলার জঙ্গলবাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী দীর্ঘদিন ধরে জোর পূর্বক ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন চালিয়ে আসছিলেন। নবম ও দশম শ্রেণির শতাধিক ছাত্রীর সাথে এই কর্মকাণ্ডের কারণে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর মা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন। পাশাপাশি এই ঘটনাটি জানতে পেরে ওই স্কুলের দাতা সদস্য শফিকুল ইসলাম এবং অভিভাবক সদস্য নাজিম উদ্দিন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে অভিযোগ দেন।

জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ২৪ দিন পর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম আজম অভিযোগ তদন্ত করতে যান। আবেদনকারীদের অভিযোগ, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্তে যেতে কালক্ষেপন করেছেন। এমনকি জুলফিকার আলীর সাথে যোগাযোগ করে তিনি বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে নানা অপকৌশল অবলম্বন করেন। শিক্ষা কর্মকর্তা জঙ্গলবাধাল স্কুলের ভুক্তভোগী এবং অভিযোগকারীদের কোন বক্তব্য শুনতে রাজি হননি।

তিনি এই ঘটনা তদন্তে প্রধান শিক্ষককে রক্ষা করতে বহিরাগত কয়েকজন লোকের কাছে হ্যা’ অথবা না’ মতামত প্রদানের জন্য সাদা কাগজে লিখে দেয়ার জন্য বলেন। এসময় অভিযোগকারী নাজিম উদ্দিন ভুক্তভোগীদের বক্তব্য গ্রহণের জন্য ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। এসময় তদন্ত কাজ অসম্পন্ন রেখেই সেখান থেকে চলে গেলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম আজম।

এ কারণে গতকাল বিকেলে ওই স্কুলের দাতা সদস্য শফিকুল ইসলাম ও অভিভাবক সদস্য নাজিম উদ্দিন শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email : samajerkatha@gmail.com
পুরাতন খবর
Fri Sat Sun Mon Tue Wed Thu
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram