নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যশোর সদর উপজেলার উপকারভোগীরা। শনিবার বিকেলে উপকারভোগীরা শহরের টাউনহল মাঠে জড়ো হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ জানান। যশোর সদর উপজেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, নারী ও শিশুদের উন্নয়ন এবং বিভিন্ন পেশাজীবীর দক্ষতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে বর্তমান সরকার গৃহীত নানাবিধ প্রকল্পের মাধ্যমে যারা উপকার পেয়েছেন তারাই এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন। প্রতিবন্ধী রবিউল ইসলাম জানান, সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা পান। এ ভাতা দিয়ে একটি চায়ের দোকান করে তিনি এখন সাবলম্বী। প্রধানমন্ত্রী এ সহায়তা না দিলে তিনি সাবলম্বী হতে পারতেন না।
বিধবা মাকছুদা বেগম জানান, তার কোনো ছেলেমেয়ে নেই। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ তার বাড়ি ও বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করাই তিনি প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘ জীবন কারনা করছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি এ সময় বলেন, ২ লাখ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পে উপকার ভোগ করছে। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখতে শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে ১৫০ টি ভাতা অব্যহত রেখেছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপ দাশের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরি। আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান জোৎসস্না আরা মিলি প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা শিশু বিষায়ক কর্মকর্তা সাধান কুমার দাস।
যশোর সদর উপজেলায় ২২—২৩ অর্থবছরে বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন ১৫৬০৫ জন, বিধবা ভাতা ৫২০৫ জন, প্রতিবন্ধি ভাতা ৯২১০ জন, অনগ্রসর ভাতা ১১৪ জন, হিজড়া ভাতা ৪ জন, প্রতিবন্ধি শিক্ষা উপবৃত্তি ৭৫ জন, অনগ্রসর শিক্ষা উপবৃত্তি ৪৮ জন, ভিক্ষুক পূর্ণবাসন ১০ জন, সমাজ কল্যাণ পরিষদে ২৫ জন, দগ্ধ ও প্রতিবন্ধি পুনবাসন কার্যক্রমে ২২ জন, সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ পাচ্ছেন ২৯০ জন। এছাড়াও কাবিখা, দুর্যোগকালিন প্রণোদনা, কৃষি প্রনোদনা, গৃহহীন ও ভুমিহীনদের ঘর প্রদানসহ সাধারণ দরিদ্র মানুষ বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হচ্ছেন।