সাইফুল ইসলাম : চিরচেনা পরীক্ষা বাদ দিয়ে নতুন কারিকুলামের আলোকে মূল্যায়িত হলো ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। গতকাল প্রথমবারের মত বিষয়ভিত্তিক ষাষ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন হয় বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে। তবে ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির অর্ধ-বার্ষিকী পরীক্ষা হয়।
নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা নির্ভরতা কমিয়ে শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ মে থেকে ৬ জুন প্রস্তুতি নিয়ে ৭ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে হবে। এ আলোকে যশোর সদর উপজেলায় গতকাল থেকে মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে যেয়ে দেখা গেছে, ৮ম, ৯ম ও ১০ম শ্রেণিতে পূর্বের নিময়ে প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা হচ্ছে। তবে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে ছিল না কোন প্রশ্ন। পাঠ্য পু¯ত্মক ও শিখন সাম্রগীর মাধ্যমে শিক্ষকরা তাদের মুল্যায়ন করছেন। শিড়্গকরা জানান, মাউশির বিষয়ভিত্তিক শিখনকালীন মূল্যায়ন নির্দেশিকা অনুযায়ী ১৩টি বিষয়ের ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন করা হবে।
নতুন এই মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে উচ্চাসিত ছিল শিক্ষার্থীরা। যশোর জিলা স্কুলের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহান হোসেন জানায়, নতুন এই পরীক্ষার পদ্ধতি মূলত এসাইনমেন্ট সিস্টেম যা আগে ক্লাসে বলে দেয়া হয়েছে এবং সেভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সামির হাসান জানায়, তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে আগের দিন ক্লাসে বলে দেওয়া হয়েছে সেভাবে। প্রশ্ন না দিয়ে মূল্যায়নটা হচ্ছে। ক্লাসে বোর্ডে লিখে দিচ্ছে যে এই বিষয়ে লেখো। এটা মূলত এসাইনমেন্ট মতো লিখতে হচ্ছে।
স্কুল শিক্ষক আলিমুল ঢালী বলেন, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ৬০ নম্বরের এসাইনমেন্ট এবং ৪০ নম্বর আচার-ব্যবহার ও ক্লাসে উপস্থিতির ভিত্তিতে দেওয়া হচ্ছে।
নিউ টাউন বালিকা উচ্চবিদ্যালয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুরাইয়া শিরিন বলেন, ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এ বছর নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এটা নতুন পদ্ধতি হলেও শিক্ষার্থীরা খুব আনন্দ নিয়ে এই মূল্যায়ন পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করেছে। এ পদ্ধতিতে যেহেতু পড়ালেখার চাপ কম । তিনি আরও জানান, নতুন এ মূল্যায়ন কারিকুলাম হয়েছে অনেকটা বা¯ত্মব কাজের সাথে মিল রেখে।