৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পেঁয়াজ নিয়ে অস্বস্তিতে যশোরের ব্যবসায়ীরা
পেঁয়াজ নিয়ে অস্বস্তিতে যশোরের ব্যবসায়ীরা

মনিরুজ্জামান মনির : যশোরে আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ প্রবেশ করেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ প্রবেশের সাথেই সেঞ্চুরি হাকানো দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি। দাম কমলেও ক্রেতা উপস্থিতি অনেক কম। ক্রেতারা আরো কমার প্রত্যাশা করছেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাদের কাছে দেশি পোঁয়াজের মজুদ আছে তারা দ্রুত বিক্রি করতে চাচ্ছেন। কিন্তু ক্রেতা পাচ্ছেন না।


যশোরের বড়বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ বিক্রেতা এলসি’র পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। আমদানিকৃত পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে।

যশোর বড় বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. আলী জানান, ‘দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। গতকালও ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছিলাম। এলসি’র পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৪৫ টাকা কেজি দরে। তবে দেশী পেঁয়াজে প্রতি কেজিতে ২০ টাকা করে লোকসান হচ্ছে।’

খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা বিকাশ জানান, ‘দেশি পেঁয়াজে ২৭-২৮ টাকা কেজিতে লোকসান হচ্ছে। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। দাম কমের পরও বিক্রি বাড়েনি। সবাই আরো কমের আসায় আছে। অনেক ক্রেতারা ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি বলছে। যা আমাদের কেনা বলছে ৩৫ টাকা করে। বর্তমানে পেঁয়াজ কেনা বেচায় ভয় পাচ্ছি। কয়েকদিন আগে যখন ক্ষণে ক্ষণে বেড়েছে, এখন আবার ক্ষণে ক্ষণে কমছে। আজ যে দামে পাইকারি কিনছি কাল সেই দামে খুচরা বিক্রি করতে পারবো কিনা সন্দেহ। তাছাড়া আমাদের যাদের কাছে দেশি পেঁয়াজ কেনা আছে তারা প্রতিদিন লোকসান দিচ্ছি।


খুচরা বিক্রেতা মাইনুদ্দিন জানান, আমার ৩০ বস্তা দেশি পেঁয়াজ কেনা ছিলো। এখানে বস্তা প্রতি ৩ হাজার টাকা নেই। দেশি পেঁয়াজে ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে লোকসান যাচ্ছে। এলসি’র পেঁয়াজ আসার কথা শুনতেই দাম কমা শুরু করেছে। এভাবে পেঁয়াজ আসতে থাকলে দাম আরো কমতে পারে। এদিকে দাম কমের পরেও ক্রেতারা পেঁয়াজ কিনছে না। অনেকে এসে বলছে টেলিভিশনে দেখাচ্ছে ২০ টাকা করে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। আপনারা কেনো এতো বেশি বলছেন।’


যশোর বড়বাজারের নোয়াখালী এজেন্সীর নুরুল ইসলাম জানান, আজ ৬০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। এমনকি ৬০’র নিচেইও বিক্রি করতে হয়েছে। গতকাল দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৭০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের দাম আরো কমতে পারে। যেহেতু এলসি’র পেঁয়াজ বাজারে চলে আসছে।


বড় বাজারের নিউ এজেন্সির শিমুল হোসেন জানান, দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। যা গতকালও ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। এলসি’র পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম কমেছে। এলসি’র পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। এমন ভাবে ভারতীয় পেঁয়াজ আসলে আরো দাম কমতে পারে।

সম্পাদক ও প্রকাশক : শাহীন চাকলাদার  |  ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : আমিনুর রহমান মামুন।
১৩৬, গোহাটা রোড, লোহাপট্টি, যশোর।
ফোন : বার্তা বিভাগ : ০১৭১১-১৮২০২১, ০২৪৭৭৭৬৬৪২৭, ০১৭১২-৬১১৭০৭, বিজ্ঞাপন : ০১৭১১-১৮৬৫৪৩
Email[email protected]
পুরাতন খবর
FriSatSunMonTueWedThu
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
স্বত্ব © samajerkatha :- ২০২০-২০২২
crossmenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram