সমাজের কথা ডেস্ক : পুরোদমে চলছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক তৃতীয় টার্মিনালের কর্মযজ্ঞ। এপ্রিল মাসের মধ্যেই কাজ পুরোপুরি শেষ করার চেষ্টা চলাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজ শতভাগ শেষ হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে টার্মিনাল ভবন বুঝে নেবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের অক্টোবরেই পূর্ণাঙ্গ অপারেশনে যাবে নান্দনিক অঙ্গসজ্জার তৃতীয় টার্মিনাল।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এখন শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল ফ্লাইট উড্ডয়ন—অবতরণের জন্য প্রায় প্রস্তুত। আগামী অক্টোবরে টার্মিনালটি চালু হলে দেশি—বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো কার্যক্রম বাড়াবে। এতে আকাশপথে যাত্রীদের আরও সুযোগ—সুবিধা নিশ্চিত হবে, রাজস্ব আয় বাড়বে বেবিচকের।
<<আরও পড়তে পারেন>> মহম্মদপুরে সড়ক নির্মাণের তিন দিনের মাথায় উঠে যাচ্ছে পিচ !
গত বছরের ৭ অক্টোবর ‘স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবতার সংযোগ’ স্লোগান নিয়ে টার্মিনালটির আংশিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অক্টোবর থেকে তৃতীয় টার্মিনাল পুরোদমে চালু হলে বিমানবন্দরের সক্ষমতা বাড়বে আড়াই গুণ। অর্থাৎ, এখন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালে দিনে ৩০টির বেশি উড়োজাহাজ সংস্থার ১২০—১৩০টি প্লেন উড্ডয়ন ও অবতরণ করে। প্রতিদিন এসব উড়োজাহাজের প্রায় ২০ হাজার যাত্রী বিমানবন্দরের দুটি টার্মিনাল ব্যবহার করেন। এ হিসাবে বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীর সেবা দেওয়ার সুযোগ আছে। তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে আরও ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
বেবিচক সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি হাতে নেয় সরকার। তবে নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই নির্মাণকাজ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং।
কার্যাদেশ অনুযায়ী আগামী ৫ এপ্রিল তৃতীয় টার্মিনালের সব কাজ শেষ হওয়া কথা। পরদিন ৬ এপ্রিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে টার্মিনালটি বুঝে নেবে বেবিচক। এরপর শুরু হবে পুরোনো টার্মিনাল থেকে নতুন টার্মিনালে সবকিছু স্থানান্তরে অপারেশন রেডিন্যান্স অ্যান্ড এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার (ওআরএটি) প্রকল্পের কাজ।