নিজস্ব প্রতিবেদক : বেনাপোলের পুটখালি গ্রামের ‘গোল্ড নাসির’কে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। তাদের অভিযোগ, হাটে যাওয়ার পথিমধ্যে তাকে ধরে একটি পাম্পের সামনে দীর্ঘক্ষণ রাখা হয়। এরপর অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা দেখানো হয়। এ ঘটনা আড়াল করতে পাম্পের সিসি টিভির ফুটেজ ডিলিট করতে বাধ্য করে র্যাব। রোববার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় এ অভিযোগ করেন নাসির উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আটক নাসির উদ্দিনের স্ত্রী বিলকিস খাতুন, বোন নাজমা খাতুন, এলাকাবাসি উজ্জ্বল হোসেন, মফিজুর রহমান, হজরত আলী, আরিফ হোসেন, নাবিলা আহম্মেদ প্রিয়া, মিলন হোসেন, লুৎফর রহমান, হাসানুজ্জামান প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বিলকিস খাতুন বলেন, তার স্বামী নাসির উদ্দিন গরুর ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার তিনি সাতমাইল হাটে গরু কিনতে যান। গত শনিবার সকালে আল-আমিন নামে একজনকে সাথে নিয়ে তিনি সাতমাইল গরুর হাটের উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা হন। পথিমধ্যে বকুল চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে পৌঁছালে দু’জন অপরিচিত লোক এসে নাসির উদ্দিনকে জোর করে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে নেয়। এরপর আশেপাশে থাকা ২০/২৫ জন লোক দ্রুত এসে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘গাড়িটি যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে পথিমধ্যে মুহিত তেল পাম্পে এসে প্রায় ১ ঘন্টা ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে। এরমধ্যে যশোর থেকে র্যাবের একটি গাড়ি আসলে আমার স্বামী বুঝতে পারে র্যাব তাকে আটক করেছে। এরপর ঘটনাস্থলে আরও একটি সাদা মাইক্রোবাস আসে। ঐ মাইক্রোবাস থেকে অবৈধ অস্ত্র বের করে আমার স্বামীর কাছে দিয়ে বলে ‘এ অস্ত্র তোর কাছে পাওয়া গেছে’।
তিনি আরও বলেন, এরপর র্যাব সদস্যরা তার স্বামীকে যশোর এবং পরে খুলনায় নিয়ে যায়। শেষে ষড়যন্ত্রমূলক অস্ত্র মামলা দিয়ে শার্শা থানায় সোপর্দ করে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও নাসির উদ্দিনের দ্রুত মুক্তির দাবি করেন।