মনিরুজ্জামান মনির : ২২ বছর ধরে শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পিঠা তৈরি করে যাচ্ছেন জহুরম্নন্নেছা। স্বামীর মৃত্যুর পরে প্রতিবন্ধী একটি ছেলে নিয়ে পিঠা বিক্রি করে সংসার চলে জহুরুন্নেছার।
তিনি ২২ বছর আগে ২-৩ কেজি চালের গুড়া নিয়ে শুরম্ন করেন পিঠা বিক্রি। সেই থেকে পিঠা বিক্রি করেই জীবন যাপন করছেন তিনি।
এমনই একজন বিধবা এবং বয়স্ক পিঠাকারিগরকে যশোর জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর পড়্গ থেকে সম্মাননা জানানো হয়েছে। উদীচীর সভাপতি তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য সম্মাননা এবং ক্রেস্ট তুলে দেন তার হাতে।
সম্মাননা পেয়ে জহুরম্নন্নেছা আনন্দ প্রকাশ করেন। সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, ভিক্ষা নয়, কাজ করেই নিজেদেরকে গড়তে হবে।
উদীচী যশোরের আয়োজনে পিঠা উৎসবে এই সম্মাননা জানানো হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উদীচী প্রাঙ্গনে এই পিঠা উৎসব ও সম্মাননা প্রদান হয়।
ডেন্টিস্ট পয়েন্ট (ওরাল এন্ড ডেন্টাল কেয়ার)’র পৃষ্ঠপোকতায় অনুষ্ঠানে ১০ প্রকার পিঠা তৈরি করেও দেখানো হয়। তৈরিকৃত পিঠা হচ্ছে বিবিখানা, পাতা পিঠা, খেঁজুর পিঠা, পুলি পিঠা, ঝাল পিঠা, চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসফটা এবং তেলে ভাজা পিঠা বা পাকানপিঠা।
অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, উদীচীর উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম-উদ-দ্দৌলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. রবিউল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম রন্টু, ফারাজী আহমদ সাইদ বুলবুল ও অ্যাড. শাহিনুর রহমান শাহিন।
সংগঠনের পড়্গ থেকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উদীচীর সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপস্নব, সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান হিরম্ন, আব্দুল আফনান ভিক্টর, শেখর দেবনাথ, রাজিবুল ইসলাম টিলন, জন দীলিপ দাস প্রমুখ। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।